শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন দেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিএনপি সবচেয়ে বড় দল এবং কয়েকবার ক্ষমতায় ছিল, সে হিসেবে বিএনপিকে দুর্বল করতে চায় সরকার।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকার পক্ষের লোকেরা ড্রাগের ব্যবসা করছে। তারা ধরা পড়লেও বিচার হয় না। তাদের লোক মানুষ খুন করলেও তাদের ধরা হয় না। অথচ আমার দলের নেতা কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়ালেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে মানুষ যেন মুক্তি পায় সেটাই আজ দেশের জনগণের প্রার্থনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ আছে। কেউ ভালো নেই। শুধু ভালো আছে যারা ক্ষমতায় আছে। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ বহু ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এসব নির্যাতন থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চায়।
সকল ধর্মের মানুষকে এক থেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে দল প্রধান বলেন, সকল ধর্মে শান্তির কথা বলা আছে। আমাদের সেই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্র। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই শান্তি ফিরে আসবে। এই দেশটি আমাদের। আগামী দিনের সুন্দর দেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি এলবার্ট পি কস্টার নেতৃত্বে মহাসচিব সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মার্শেল এম চিরান, সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চয় হাওলাদারসহ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এএম/আরআই