শুক্রবার (৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, গত নয় বছরে বিএনপি-জামায়াত নয় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি।
কাদের বলেন, আমরা নয় দফা দাবির সবগুলো মেনে নিয়েছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন জনগণের স্বার্থে, নিজেদের লেখাপড়ার স্বার্থে ও ভবিষ্যতের স্বার্থে শান্ত থাকে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন যেনো অযৌক্তিক দিকে না যায় এরজন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সবাইকে এই দাবি শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, সহযোগিতা পাবো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক সেটা সরকার স্বীকার করেছে। কিন্তু এ যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক পথে উসকানি দিয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে অশুভ চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মিছিলে ঢুকে উসকানি দিচ্ছে একটি রাজনৈতিক মতলবি মহল। তারা এই শিশুদের সমাবেশে খাবার পানি সরবরাহ করছে এবং উসকানি দিচ্ছে আরও উত্তেজিত হওয়ার জন্য। আমরা লক্ষ করছি, এই শিক্ষার্থীরা কিছু কিছু এলাকা থেকে এই কুচক্রী মহলদের বের করে দিয়েছে। এই মহলটি সন্ধ্যার পর বেশি তৎপর হয়। সন্ধ্যার পর এখানে অনেক ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী, এমপি অনেকেই নাজেহাল হয়েছেন। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীরা তাদের নাজেহাল করেনি। অনুপ্রবেশ করে মতলবি মহলটি অপকর্ম করেছে। সন্ধ্যার পর রাতের অন্ধকারে কার্যকলাপ শুরু করেছে। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা দেখাতে অনুরোধ করেছি। কোনো ধরনের উসকানির ফাঁদে না পড়তে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। শুধু তারা লক্ষ রাখবে কারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করছে, অনুপ্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের পাঁচদিন অতিবাহিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সরকার কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেনি। প্রথম থেকেই এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রো-একটিভ ছিলাম, এখনও প্রো-একটিভ আছি। শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি পাবলিক স্টেটমেন্ট করে আমরা মেনে নিয়েছি। তাদের এমন কোনো দাবি নেই যা আমরা মানতে অপরাগতা প্রকাশ করছি। এই ঘটনা কীভাবে হয়েছে তা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রমিজ উদ্দিন স্কুলের পাশে যত দ্রুত সম্ভব একটা আন্ডারপাস নির্মাণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এর ডিজাইন করে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে একটা প্রস্তাব পাঠানোর জন্য। সেনাবাহিনী সে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেনাবাহিনী এই আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ খুব দ্রুত শুরু করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৮/আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা
এসকে/আরআর