সোমবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ‘শিক্ষার্থীদের ওপরে নিপীড়নের প্রতিবাদ ও সংহতি’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, আমাদের ছেলেদের ওপরে হামলা করা হচ্ছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কিশোররা সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা কী চাই এবং কী করতে পারি। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, সমস্যার মূল জায়গা। আজকে এদিনে শপথ নেওয়ার দিন, রাষ্ট্রকে আমরা মেরামত করতে চাই। যেমনটা কিশোররা করেছে।
তিনজনের নেতৃত্বে ঈদের পরে আমরা সবাই নামবো জানিয়ে মান্না বলেন, ঈদের পরে মাঠে নামবো। জবাব চাইবো। বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আমরা মাঠে নামবো।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। নয়দিন আগে সড়কে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ করে টাকা দিয়েছেন, ভালো কথা। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, সড়ক হয়ে উঠছে হত্যাযজ্ঞের কেন্দ্র। কারণ বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নেশাগ্রস্ত চালকদের হাতে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৃতীয়পক্ষ প্রবেশ করেছে- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃতীয়পক্ষ ছাত্রলীগ-যুবলীগ। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নয়। সুতরাং অবশ্যই তৃতীয়পক্ষ সরকার পক্ষের লোক।
গণস্বাস্থ্য বোর্ডের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৮
এমএইচ/এএটি