বুধবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ।
মন্ত্রী বলেন, কিছু আছে যারা ক্ষমতার মৌসুমে দলে প্রবেশ করে। ক্ষমতা গেলে তারা আবার চলে যায়। এসব নবাগত অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগের নামে অপকর্ম করে ছাত্রলীগের নামে অপরাধ করে। কয়েকজন অপকর্ম করে কিন্তু বদনাম হয় গোটা ছাত্রলীগের। আমরা রুলিং পার্টি (শাসক দল) হিসেবে এর দায় এড়াতে পারি না।
এজন্য তিনি ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
সংগঠনটির নবঘোষিত কমিটিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিন মাস যাচাই-বাছাই করে কমিটি দিয়েছেন। এ কমিটিতে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দুঃসময়ের যারা ত্যাগী সেইসব কর্মীদের যেন স্থান হয়।
ছাত্রলীগকে একটি মহল সন্ত্রাসী বানানোর জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে উল্লেখ করে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের নামে অপপ্রচার করে তাদের জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। এসব উসকানিমূলক ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুকে অ্যাটাক করা হচ্ছে।
বঙ্গমাতার আদর্শকে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম মুজিবের মধ্যে আত্মপ্রচারের অহংবোধ ছিল না। তিনি কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগের মাঝে সংযোগ স্থাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শসমূহ পৌঁছে দিতেন। কখনো তাকে ফার্স্ট লেডির মর্যাদায় দেখিনি।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/