রোববার (১২ আগস্ট) দুপুর ২টায় ময়নাতদন্তে শেষে পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ বুঝে নেন স্বজনরা।
মরদেহ কাঁদে নিয়ে সতীর্থ সহকর্মী পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মেডিকেল ক্যাম্পাস এলাকায় মিছিল করে রাজুর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন।
এরপর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় নগরের উপ-শহরের বাসায়। বিকেল ৩টায় নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল উপ-শহরের এ ব্লক জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, জানাজা শেষে সেখান থেকে রাজুর মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার শাহপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শনিবার (১১ আগস্ট) রাত ৯টায় নগরের কুমারপাড়ায় নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিজয় মিছিল শেষে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ নতুন কমিটির কতিপয় ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হন রাজুসহ তিন ছাত্রদলকর্মী।
তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অস্ত্রপচারকালে মারা যান রাজু। আহত জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও সালাহ লিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি এবং মামলাও হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কুমারপাড়াস্থ বাসাভবন সংলগ্ন সড়কে গলির মুখে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রদল নেতা রাজু উপ-শহর এ ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাসার বাসিন্দা ফজর আলীর ছেলে। তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান চৌধুরী-রেজাউল করিম নাচন এবং আজিজ গ্রুপের সদস্য ও ছাত্রদলের জেলা কমিটির সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এনইউ/আরবি/