শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে স্বনির্ভর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে গ্রামবাসীদের নিয়ে ওই এলাকায় ইউপিডিএফ-এর একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা ছিল। কর্মসূচির ঠিক আগে আগে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তপন চাকমা, এলটন চাকমা, জিতায়ন চাকমা নামে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে তপন চাকমা ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, এলটন চাকমা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জিতায়ন চাকমা মহালছড়ি উপজেলা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক।
আহতরা হলেন, সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)। আহত ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের অদূরে স্বনির্ভর বাজার ও আশপাশের এলাকায় আকস্মিকভাবে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত ও আরো ৩ জন আহত হন। নিহতদের অধিকাংশই ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী ও সমর্থক বলে জানা গেছে। তবে এ সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ হতাহতদের উদ্বার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
দুর্বৃত্তরা স্বনির্ভর বাজারে অবস্থিত পুলিশ বক্সেও গুলি চালিয়েছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
ইউপিডিএফ-এর জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থি জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে জনসংহতি সমিতি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন টিটো জানান, অতর্কিতভাবে হামলাটি হয়। এলোপাথারি গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বনির্ভরসহ আশপাশের এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। চলাচল করছে না খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের যানবাহন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮/আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা
এডি/এমজেএফ