রোববার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে মানিকপুর গ্রামে তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকরা সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের দায়-দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা সরকারের কাছে, সুপ্রিম কোর্টের কাছে নয়।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া গ্রেফতারের ৩ সপ্তাহের মধ্যে জামিনে বের হয়ে যাওয়ার কথা। এখন আর দু’টি মামলার জামিন বাকি। এখন হাইকোট নির্দেশ দিয়েছে ৭ দিনের মধ্যে এগুলো নিষ্পত্তি করতে। খালেদা জিয়ার জামিন হাইকোট থেকে নেওয়া হবে। সরকার যদি আর কোনো রকম হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে এ মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত হবেন তিনি। খালেদা জিয়া যেদিন মুক্তি পাবেন, সেদিন বাংলাদেশে নতুন করে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। সে গণজোয়ার ঠেকানো কারও সাধ্য থাকবে না। ’
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ‘বর্তমানে নূন্যতম কোনো গণতান্ত্রিক চর্চা ও পরিবেশ নেই। কারো গণতান্ত্রিক অধিকারও নেই। আমার বাড়িতে নেতাকর্মীরা দেখা করতে আসলে তাদের পুলিশ আটক করে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এই ফ্যাসিবাদ। এটা স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদি আচরণ ছাড়া আর কিছুই না। ’
আমি এখনও অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। পুলিশ কর্তৃপক্ষ আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছে। গত তিনদিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসছে আমার সঙ্গে দেখা করতে। অনেককে বাধা দিয়েছে পুলিশ আমার বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমার সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার সময় অনেককে আটকও করেছে। এ পর্যন্ত ২৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন পুরাতন মামলায় তাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের ১১ জনকে আটকের পর আবার ছেড়ে দিয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
আরএ