ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘দেশের সব স্তরে দুর্নীতি ও লুট হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
‘দেশের সব স্তরে দুর্নীতি ও লুট হয়েছে’ বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল

খুলনা: চার হাজার কোটি টাকাকে অর্থমন্ত্রী সামান্য বলায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই অর্থের মালিক আপনি নন, জনগণ। দেশের সব স্তরে দুর্নীতি ও লুট হয়েছে। সরকারি দলের নেতারা এর সঙ্গে জড়িত। তাদের বিচার হয়নি। হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লুটের কোনো তদন্ত করেনি সরকার। এজন্য আপনারা আসামি হতে পারেন।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখেন তিনি।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে খুলনায় যুক্তফ্রন্টের প্রথম জনসভা বিকেলে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে হয়।

এছাড়া মঞ্চে গণসংগীত পরিবেশন করা হয়।  

জনসভায় জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সরকার জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকবে। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করুন।  

তিনি বলেন, সরকার প্রধানের পদত্যাগ, মন্ত্রিসভা বাতিল, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না।  

জনসভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে কোনো মূল্যে সরকারের ভোটচুরি ঠেকাতে হবে। জনগণ এবার ভোট দিতে চায়। মানুষ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছে। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষ রাজপথে নামবে।  

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ভোট কারচুপির একটি কৌশলমাত্র। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না।  

তিনি বলেন, কিশোরদের কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মতো ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। লাখো জনতার গণআন্দোলনের মধ্যে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে। বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যদিয়ে এ জুলুমবাজ, দখলদার, ভোটচুরি ঠেকাতে হবে। লড়াই করেই বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।  

জনসভায় সভাপতিত্ব ও সূচনা বক্তৃতা দেন জেএসডির জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরউল্লাহ চৌধুরী ও জেএসডির কেন্দ্রীয়  সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।  

জনসভায় বক্তৃতা করেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আতাউর করিম ফারুক, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় সাংগঠকি সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আব্দুর নূর, নাগরিত ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সহ-সভাপতি দবির উদ্দিন জোয়ার্দ্দার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, মাগুরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ আউয়াল, জেএসডির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী সানা, স্থানীয় জেএসডি নেতা আব্দুল লতিফ, জিল্লুর রহমান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।