বুধবার (১০ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ রায় প্রত্যাখান করে বলেন, এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই অনির্বাচিত সরকার আদালতকে ব্যবহার করে আরেকটা ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এটা রাজনৈতিক ও আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতেই ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি মামলা দায়ের করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে ইন্টারপোলকে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় বিএনপি জড়িত এ কথা বলেননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ সরকারের সময় শেখ হাসিনা প্রথম বিএনপিকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর অবসরে পাঠানো বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কাহারকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন। এ আবুল কাহার ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে প্রচার-প্রচারণা চালান, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মুফতি হান্নানকে দিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য নেতাদের জড়ানো হয়েছে। পরবর্তীতে মুফতি হান্নানই বলেছেন, তারেক রহমানের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তারেক রহমানকে চেনেন না। তার জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিকে কিভাবে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, তা দেশবাসী জানেন। যে দেশে প্রধান বিচারপতি বিচার পান না, সে দেশে তারেক রহমান তো ননই, কোনো নাগরিকই সুবিচার পাবে না।
দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে অন্যায়ের জবাব দেয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮, আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা
টিএম/আরবি/