ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শামীম ওসমানের যুদ্ধ ঘোষণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শামীম ওসমানের যুদ্ধ ঘোষণা মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শামীম ওসমানের যুদ্ধ ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ: একটি বাসযোগ্য নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

 

শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেল গেট সংলগ্ন মিড টাউন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে আয়োজিত সমাবেশে শামীম ওসমানের বক্তব্যে উঠে আসে এ যুদ্ধ ঘোষণা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ও জেলা প্রশাসন নিয়েও কথা বলেন তিনি।

দলের নেতাকর্মীদেরও এসময় সতর্ক করেন শামীম ওসমান।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সমাবেশে পরিষদের আহবায়ক থাকায় শামীম ওসমান নিজেই সভার সভাপতিত্ব করেন। মঞ্চে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


শামীম ওসমান বলেন, শহরে সমাবেশের কারণে অনেকের কষ্ট হয়েছে। কিন্তু তাদের কষ্ট হয় না যারা আওয়ামী লীগ করে, যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, স্বাধীনতার পক্ষের সন্তান। কারণ এ রাজপথেই আওয়ামী লীগের জন্ম। সে কারণেই রাজপথেই আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে। তার পরেও আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই সমাবেশের কারণে কষ্টের জন্য। আজকে এও শুনেছি শিবু মার্কেট থেকে অনেকে পায়ে হেঁটে এসেছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই।


শামীম ওসমান বলেন, সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ইভটিজিং থেকে বাঁচতে চায়। মানুষ এখন সুশাসন চায়। নারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন শান্তি চায়। অনেক উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের চেয়েও মানুষ এসব বেশি চায় শান্তি। সে কারণেই এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।  

তিনি বলেন, এগুলো বন্ধ করা শুধু প্রশাসনের একার দায়িত্ব না। আওয়ামীলীগের প্রত্যেকেরও দায়িত্ব এগুলো বাস্তবায়ন করা। আমি সামনে আওয়ামী লীগ, আইনজীবী সমিতি, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক নেতা, ব্যবসায়ী নেতা সহ সকলকে নিয়ে বসবো। শুধু আওয়ামী লীগ না বরং স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে কাজ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে এসব অপরাধ নারায়ণগঞ্জ থকে দূর করবো। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি মন্ত্রী কিংবা এমপির হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। দুইবার মন্ত্রীত্ব দিতে চেয়েছিল আমি নেই নাই। প্রধানমন্ত্রীর মতো এত বড় মানুষের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। একজন কর্মী থাকতে চাই।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলার সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ বাদল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সহ সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুসহ স্থানীয় নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।