রোববার (০৩ মার্চ) বিকেলে তাকে দেখতে বিএসএমএমইউ-তে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় উভয়কেই ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত জানান বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর ওবায়দুল কাদেরকে ডাকেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মিটমিট তাকানোর চেষ্টা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এরপর যখন রাষ্ট্রপতি আসেন তখন পুরোপুরি তাকিয়েছেন। এসময় ওবায়দুল কাদেরের শারিরীক অবস্থা এবং চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেওয়ার বিষয়ে একই রকম তথ্য জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ'র পরিচালক ব্রি. জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে সকালে থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকার থেকে শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং দলের শীর্ষস্থানী নেতারা হাসপাতালে এসেছেন।
রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে প্রথমে বিএসএমএমইউ'র আইসিইউতে ও পরে সিসিইউতে ভর্তি হন কাদের। এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে ৩টা ব্লক পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে একটিতে রক্ত সঞ্চালন সচল করা হয়েছে।
এদিেক ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকদের সায় পেলে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ মুহূর্তে তাকে কোথাও নেওয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯
এজেডএস/এসএইচ