ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ভূমিকা উন্মোচন করা উচিত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ভূমিকা উন্মোচন করা উচিত’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: ইতিহাসের স্বার্থে কমিশন গঠন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানসহ কার কী ভূমিকা ছিল, জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত এবং প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধু উপাধির ৫০ বছর উদযাপন’ উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে নিছক কিছু সেনা কর্মকর্তা জড়িত ছিল না।

মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তির সম্মিলিত চক্রান্তে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।

তিনি বলেন, বঙ্গন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল কমিশন গঠন করে তা জাতির সামনে উন্মোচন করা উচিত। অন্যথায় আজ থেকে ৫০ বছর, ১০০ বছর এবং ২০০ বছর পরে যে ছেলেটি বাঙালির ইতিহাস পড়বে সে শুধু এই হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের বিষয়ে জানবে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের কথা জানবে না। সুতরাং ইতিহাসের স্বার্থে কমিশন গঠন করে সবার মুখোশ উন্মোচন করা এখন সময়ের দাবি।  

তিনি আরও বলেন, সমাজে যদি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হয়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়, তাহলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হয়। আমরা সেই ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করছি এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি কখনো স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমরা প্রথম স্বাধীন বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।

বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার দেড়-দুই দশকের মধ্যে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর থেকেও অনেক আগে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতাম। বর্তমানে বাংলাদেশ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

‘বঙ্গবন্ধুর শব্দটি আমার’ এই শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চারুশিল্পী পরিষদ।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন চারুশিল্প পরিষদের সদস্যরা।  

চিত্র প্রদর্শনীতে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের ৫৫ জন নবীন-প্রবীণ শিল্পী তাদের ক্যানভাসে তুলে ধরেন কিভাবে একজন শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে উঠলেন। স্বাধীনতার সংগ্রামে কী ছিল তার শক্তির উৎস। কীভাবে তৈরি হলো বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস।

চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব, কবি ও গবেষক শেখ হাফিজুর রহমান, কবি ও শিল্প সমালোচক স্থপতি রবিউল হুসাইন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতার চারুশিল্পী পরিষদের আহ্বায়ক চিত্রশিল্পী আনোয়ার হোসেন। উপস্থাপনা ও প্রদর্শনীর আয়োজন বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চারুশিল্প শিল্পী পরিষদের সদস্য সচিব এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের পরিচালনা কমিটির সদস্য শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু।

চিত্র প্রদর্শনীটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের লুৎফর রহমান ও শেখ সায়রা খাতুন গ্যালারিতে ২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত (বুধবার ব্যতীত) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।