কিন্তু মোবাইল চুরির অপরাধে তার বাড়িতে যুবককে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয় এদিনই। পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকায় পর দিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এবার দলে তার পদবী থাকবে কি-না, এ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, উপজেলার তিন নম্বর কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এবাদুর রহমানের বাড়ির আঙিনায় গিয়াস উদ্দিনকে (৩৫) নির্যাতন করা হয়।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, গিয়াস উদ্দিনের মাথা নিচের দিকে দিয়ে পা দু’টো বাঁশের সঙ্গে বাধা হয়। দুইজন লোক পা বাধা বাঁশ কাঁদে দিয়ে দাঁড়ান আর ওই ইউনিয়নের আরেক মেম্বার আব্দুস সালাম একের পর এক যুবকের পায়ের নিচে লাঠি দিয়ে আঘাত করে যাচ্ছেন। নির্যাতিত ব্যক্তির আর্তনাদে আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন কৌতূহল ভরে দেখলেও কেউ এগিয়ে যাননি।
গত ১৫ জানুয়ারি মোবাইল চুরির অপরাধে গিয়াসকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। কিন্তু এ দুই মেম্বারের ভয়ে ভিডিওটি গোপন রাখা হয়। তাদের ভয়ে এলাকার লোকজনও অতিষ্ঠ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আব্দুস সালাম মেম্বার ওরফে ফকির মাস্তানকে ভারতে পালানোর সময় কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এর আগে সালামের অপর তিন সহযোগী এবাদ মেম্বার, আনোয়ার, ও শাহজাহানকে আটক করে পুলিশ।
নির্যাতিত গিয়াস উদ্দিন ওই ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে গিয়াস বাদী হয়ে আটক চারজনের নামে ও অজ্ঞাত আরও তিন/চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এনইউ/আরবি/