ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

অবিলম্বে পাটকল-চিনিকল খুলে দেওয়ার দাবি বাদশার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
অবিলম্বে পাটকল-চিনিকল খুলে দেওয়ার দাবি বাদশার

রাজশাহী: বন্ধ করে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।  

তিনি বলেন, পাটকল ও চিনিকল বন্ধ করে শ্রমিকদের বেকার করে দেওয়া হচ্ছে।

আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি। সমস্ত চিনিকল ও পাটকল খুলে দিতে হবে।

পাটকল ও চিনিকল রক্ষার দাবিতে রাজশাহীতে শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে গিয়ে বাদশা এ দাবি জানান।  

আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাদশা সমাবেশে বলেন, এ সড়কে যে সমস্ত শ্রমিক-কৃষকরা অবস্থান ধর্মঘট করছেন তাদের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সহানুভূতি জানাই। আশ্বাস দিচ্ছি ওয়ার্কার্স পার্টি চিনিকল-পাটকল-সুতাকলের প্রশ্নে কোনো আপস সরকারের সঙ্গে করবে না।

তিনি বলেন, আজকে উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে উন্নয়নের কী মূল্য আছে? যে পাটের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে সেই সমস্ত পাটকল বন্ধ হয়ে গেল। আদমজী যখন বিএনপি সরকারের আমলে বন্ধ হয় তখন আমরা অনেক কথা বলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীও অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে সমস্ত পাটকল, চিনিকল এমনকি সুতাকলও বন্ধ করে দিচ্ছি। আজকে এক কোটি মানুষ বেকার ও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দরিদ্র মানুষের কথা উচ্চারিত হচ্ছে না। আমি বলতে চাই, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করে এ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি, আমাদের মনে রাখা দরকার করোনাকালে আমাদের দেশে দরিদ্রের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তখন কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, এ অবস্থান ধর্মঘট ৬৪ জেলায় হচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবো। এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হাজার হাজার কৃষক-শ্রমিক হাজির হয়েছিল। এখন শোষিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী জেলার সভাপতি সিরাজুর রহমান খান। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, যুবমৈত্রীর জেলার সভাপতি মনির উদ্দিন পান্না, নগর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় কৃষক সমিতির জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সম্পদকমণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মতিন, রাজশাহী চিনিকলের সিবিএ নেতা হাবিবুর রহমান ছানা, রাজশাহী পাটকলের শ্রমিক নেতা আলাল মোল্লা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।