ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
আ.লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে: মোশাররফ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তারা মানুষের কথা বলার অধিকার হত্যা করেছে, সংবাদপত্র-সাংবাদিকদের ক্ষমতা খর্ব করেছে।

৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত যেভাবে গায়ের জোরে দেশ পরিচালনা করতে চেয়েছিল, বর্তমানে আওয়ামী লীগ তাই করছে।  

সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে জিয়া পরিবার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ক্রীড়া কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।  

ড. মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫ সালে বাকশাল গঠন করে এ দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। আর জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৯০ শতাংশ মুসলমান দেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম লেখা ছিল না। তিনি সাহস করে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। যেটা আর কেউ কোনোদিন সরিয়ে নিতে পারবে না। এদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা ছিল। তিনি সংবিধানে সাহস করে ধর্মের ওপরে বিশ্বাস ও সব ধর্মের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। এদেশে ৭৫ পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাটের অর্থনীতি ছিল, যেজন্য ৭৪ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেই সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাতিল করে মুক্তবাজার অর্থনীতি স্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে যে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয় সেই পোশাক শিল্প জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আমাদের যে রেমিটেন্স অর্থনীতির একটা স্তম্ভ। এ শ্রমিক বিদেশে পাঠানো জিয়াউর রহমান শুরু করে দিয়ে গেছেন। অর্থাৎ আজকে শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয়, সব ক্ষেত্রে যেমন- রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেছিলেন।  ক্রীড়াঙ্গনেও তিনি সংগঠন, প্রশিক্ষণ ও স্থাপনা তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন। সেগুলো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সময় আরও উন্নয়ন করেছেন। এসব অবদান তুলে ধরলেই আওয়ামী লীগের গায়ে কাঁপুনি ধরে যায়। যেসব ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান সফল হয়েছেন, সেসব ক্ষেত্রে কিন্তু আওয়ামী লীগ ব্যর্থ।   

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, নিতাই রায় চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ নুরুল করিম শাহীন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আওয়াল, ক্রীড়া সাংবাদিক আজম মাহমুদ, বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহিন, যুগান্তরের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার মোজাম্মেল হক চঞ্চল, সুইমিং ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আমিনুল হক সজল, আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।  

আয়োজক সংগঠন বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) এম এ লতিফের সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।