ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতির সংলাপ তামাশা ও প্রতারণা: এলডিপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
রাষ্ট্রপতির সংলাপ তামাশা ও প্রতারণা: এলডিপি আবদুল করিম আব্বাসী, শাহাদাত হোসেন সেলিম

ঢাকা: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। এই সংলাপের মধ্যদিয়ে বর্তমান সরকার মূলত আবারও রাজনৈতিক তামাশা ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে বলে মনে করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ কার্যত একটি দর্শণ অযোগ্য নাটকের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। চলমান সংলাপ এরই মধ্যে দেশবাসীর কাছে অতীতের মতই চাতুর্যপূর্ণ সংলাপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কাজেই উক্ত সংলাপে যারা অংশগ্র নিয়েছেন তারা জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের অপশাসন ও ভোটাধিকার হরণের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের দোসর হিসাবে গণ্য হবেন।

তারা বলেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত অনৈতিক সরকারের উৎচ্ছিষ্টভোগী কিছু নামকাওয়াস্তের রাজনৈতিক দল, যারা বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে বঙ্গভবনে আপ্যায়ণের লোভে তথাকথিত সংলাপে অংশ নিয়েছে বা নিচ্ছে, জনগণ তাদের ঘৃণার চোখে দেখে বলে আমরা মনে করি। তাদের এই হীন কর্মকাণ্ড দেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিপ্রিয় মানুষের মুক্তিকে সাময়িক কিছুটা বিলম্বিত করতে পারে, কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারবে না। ওইসব সুবিধাভোগীরা জনগণের কাছে, ইতিহাসের মীরজাফরের মতো ঘৃণিত হয়েই থাকবে। আমরা এখনও তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে প্রত্যাশা করছি। না হলে জনগণের রোষানল থেকে ভবিষ্যতে এসব রাজনৈতিক নেতারাও বাঁচতে পারবেন না।     

এলডিপি নেতারা বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতোমধ্যেই এই সংলাপকে ‘অর্থহীন’ উল্লেখ করে তাতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আমরা এলডিপির পক্ষ থেকে বিএনপির এই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। অর্থহীন, প্রতারণার সংলাপে গিয়ে নতুন করে সরকারের ফাঁদে পা না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে, সেজন্য আবারও আমাদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই। বিএনপির পাশাপাশি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংলাপের অভিজ্ঞতার আলোকে কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদেরও আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অন্যান্য গণতন্ত্র প্রত্যাশী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপিও এই তথাকথিত সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তারা বলেন, এলডিপি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল। আমরা যেহেতু ২০ দলীয় জোটে আছি, বিএনপিসহ জোটের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেহেতু সরকারের তামাশার সংলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; এর মাঝেও কিছু জোটভুক্ত দল রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাওয়ার আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছে। অনেকে আমন্ত্রণের জন্য জোর তদবিরও চালাচ্ছে। এসব দল যদি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফটোসেশনের আশায় তথাকথিত সংলাপে অংশ নেয়, তবে জোটভুক্ত দল হিসেবে আমরা সেসব দলকে ২০ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা,  জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।