ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত জিয়াউল হক স্বপন

কুষ্টিয়া: বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপনের নামে।  

জিয়াউল হক কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন বলে জানা গেছে।

চার বছর আগে স্বামীকে আমেরিকা পাঠানোর কথা বলে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেওয়া অভিযোগে জিয়াউল হক স্বপনের নামে কুমারখালী থানায় গত ০৯ জানুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মোছা. ফিরোজা নামে এক নারী। তিনি কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ের কলাবাগ রোডের বাসিন্দা। জিডি নম্বর- ৩৮৭।

অভিযোগে মোছা. ফিরোজা উল্লেখ করেন, গত চার বছর আগে তার স্বামী মামুন আল জাহিদকে আমেরিকা পাঠানোর কথা বলে নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেন জিয়াউল হক।  
ফিরোজা বলেন, চার বছর আগে আমি স্বামী চাকরি করতেন। সেই চাকরি চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ও রাজনীতির সূত্র ধরে জিয়াউল হকের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। সেই সময় স্বপন বলেছিলেন তার পরিবারের ২৬ জন আমেরিকা থাকেন। তাই আমার স্বামীকে তিনি আমেরিকা পাঠাতে পারবেন বলে নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেন। নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তার স্বামীকে বিদেশে তিনি পাঠাননি। পরে টাকা ফেরত চাইলে নানা তালবাহানা শুরু করেন স্বপন। তবে এ চার বছরে অল্প অল্প করে কিছু টাকা তিনি ফেরত দিলেও এখনো পাওনা ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, ‘সম্প্রতি টাকার জন্য চাপ দেওয়া হলে জিয়াউল হক স্বপনের জানান— ইউপি নির্বাচনের পরে টাকা দিয়ে দেবেন। চতুর্থ ধাপে কয়া ইউনিয়ন থেকে স্বপনের ভাবী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ভোটের পর তার কাছে টাকা জন্য গেলে নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে তাই হাতে নেই জানিয়ে চরম খারাপ ব্যবহার করেন। গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত এসেছিলেন। একপর্যায়ে স্বপন নিজের স্ত্রীকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করতেও বলেও আমাদের ভয় দেখান। এ পরিস্থিতিতে সেখান থেকে চলে আসেন ফিরোজা। ’ 

স্বপন ক্ষমতাধর তাই উপায় না পেয়ে এবং নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান ফিরোজা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, ‘টাকা-পয়সা লেনদেন হয়েছিল। তবে কিছু টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। এখনো কিছু টাকা দেনা রয়েছে, সেটাও দিয়ে দেব। কেউ শত্রুতা করে পাওনাদার ফিরোজাকে ভুল বুঝিয়ে দিয়ে আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন বলে ধারণা করছি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত করে প্রমাণ মিললে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।