ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে মাদকসেবী, অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের পদে থাকাদের নিয়ে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রবাসী, নিষ্ক্রিয়দেরও অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু স্বাক্ষরিত ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কমিটি অনুমোদন লেটারে কোনো তারিখ দেয়া নেই। কমিটির মেয়াদ কতোদিন এবং কতোদিনের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করে জমা দিতে হবে’ তার নেই কোনো নির্দেশনাও। তবে বুধবার দুপুরে জেলা যুবদলের নতুন কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শামীম তালুকদার।
এ কমিটিতে ১৮ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক মাদক মামলার আসামি, বিদেশ প্রবাসী ও রাজনৈতিক মাঠে নিষ্ক্রিয়দের নাম। বাকি ৫৩ সদস্যের মধ্যে রয়েছে অন্য দলের অনুসারী ও কর্মসূচি পালনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিসহ স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বর্তমানে পদে থাকা নেতাকর্মীরা। বিদেশ প্রবাসী, জেলার কর্মসূচীতে দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়, তৃণমূলে নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কহীন ব্যক্তিরা।
নবগঠিত জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিচুর রহমান পান্নু জানান, যুবদলের বরিশাল বিভাগীয় টিম ঝালকাঠিতে সফরে এসে আমাদের নিয়ে কর্মী সভা করে। তখন যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও যুবদল করতে ইচ্ছুক সবাইকে প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়। ফরম পুরণকৃত ও যোগ্যদের নিয়ে জেলা যুবদলের বিভিন্ন পদের জন্য ৪১ জনের নাম প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীকালে অন্যদের নিয়ে বর্ধিত করে ৬১টিতে পৌঁছে। এক পর্যায়ে নাম না জানা, যুবদলের প্রতি সংশ্লিষ্টতা না থাকা, দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়, সময়ের সুযোগ সন্ধানী, মাদকসেবী, প্রবাসীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা হয়েছে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বাংলানিউজকে জানান, আমরা তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে জেলা যুবদলের কমিটি পাঠিয়েছি। পরবর্তিকালে সম্মেলনের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটির অধীনস্ত সকল উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এনটি