ঢাকা: বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়ার আগ পর্যন্ত দল থেকে বহিষ্কার হওয়া কেউ দলের কোনো পদে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পাশাপাশি যাদের শোকজ করা হয়েছে তাদের শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে বলেও জানান তারা।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগের অন্তর্গত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলা, উপজেলাগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ কথা জানান তারা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
এ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা বিভাগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় নেত্রী (সভাপতি শেখ হাসিনা) কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দিক নির্দেশনার আলোকে আমাদের আজকের এ সভা। এ সভার লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল পর্যায়ে নেত্রীর যে নির্দেশনা ছিল সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া। এগুলো হলো- সম্মেলন করা, সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দলের সাংগঠনিক অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করা হবে।
যারা দলের নির্দেশনা মানেন না, তাদের বিষয়ে আগে থেকেই দলের নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আরও বলেন, যারা বহিষ্কার হয়েছেন, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন, শোকজ করা হয়েছে তাদের বিষয়টা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। দলকে গণমুখী করা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানো হবে। যাতে দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা আরও শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করা। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দলের সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে তাদের দলের কোনো কমিটির নেতৃত্বে আনার সুযোগ নেই। তারা দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও আসতে পারেন না। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তো হতেই পারবেন না। যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে তাদের জায়গা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর। এর আর আগে তাদের কোনো জায়গায় আনা যাবে না। নিষ্পত্তি হওয়ার পর তারা পদে আসতে পারেন।
নেতারা আরও বলেন, খুলনা বিভাগের চারটি জেলায় সম্মেলন বাকি রয়েছে। যেসব জেলায় সম্মেলন হয়েছে সেসব জেলার অনেক উপজেলা সম্মেলন বাকি রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সবগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। এ সময়ের মধ্যে খুলনা বিভাগের সব সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
এসকে/আরআইএস