ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আইনমন্ত্রীর ফোনালাপের তদন্ত দাবি বিএনপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
আইনমন্ত্রীর ফোনালাপের তদন্ত দাবি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ফাঁস হওয়া ফোনালাপের আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ফোনলাপ ফাঁস হওয়া এবং সেই প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রীর ফোনালাপকে ইনোসেন্ট করভারসেশন অথবা ‘নির্দোষ ফোনালাপ’ বলে মন্তব্য এবং ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও উপদেষ্টার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে শুধু তদন্ত নয়, ফোনলাপের বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আহবান জানাচ্ছি। এছাড়া অতীতে ফাঁস হওয়া সব ফোনালাপ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটির কাছে নাম পাঠানো সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে, বিএনপি মনে করে বর্তমান জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন অবৈধ আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচনে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি তারই প্রেক্ষাপটে মনে করে এখন অনুসন্ধান কমিটিতে নাম প্রেরণ এবং নির্বাচন কমিশন গঠন একেবারই অর্থহীন।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার নীলনকশার অংশ হিসেবে পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারি তৎপরতা সেই চক্রান্তেরই অংশ। বিএনপি তাই মনে করে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সবার গ্রহণযোগ্য, একটি অংশীদারত্বমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।