ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত, দায়ীদের বিচার দাবি গণসংহতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত, দায়ীদের বিচার দাবি গণসংহতির

ঢাকা: সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪৯ জন নিহত ও প্রায় চার শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

একই সাথে নেতৃবৃন্দ এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নির্দেশনা দেন এবং দেশবাসীকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

রোববার (০৬ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তারা।

জোনায়েদ সাকি বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে সহজেই অনুমেয় যে, এখানে কনটেইনারে উচ্চমাত্রার কেমিক্যাল ছিল। এমন সংবেদনশীল স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনায় এত প্রাণের ক্ষয় ঘটেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলার জন্য দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বিস্ফোরণে হতাহতদের সহযোগিতা ও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলার নেতাকর্মীরা। সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমী জানান, আহত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচানোর জন্য রক্তসহ আনুষঙ্গিক সহযোগিতার প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষজন সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। যারা আশেপাশে অবস্থান করছেন, তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আর একজনের মৃত্যুও যাতে আমাদের না দেখতে হয়।

নেতৃবৃন্দ জানান, গণসংহতি আন্দোলন এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সর্বাত্মক রয়েছে। সংগঠনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারকে এই আহত মানুষদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পূর্ণ দায়-দায়িত্ব এবং নিহতদের পরিবারপ্রতি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

দ্রব্যমূল্যে নাকাল গার্মেন্ট শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নতুন মজুরি কাঠামোর দাবি

এক পৃথক বিবৃতিতে মিরপুরে গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকার দেশে ভয়াবহ লুটপাট ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে, মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার আকাঙ্ক্ষা এবং সামর্থ্য এদের নেই; এখানে সরকার ও সিন্ডিকেট কার্যত একসূত্রে গাঁথা। এরকম পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষদের অধাবেলা খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। মধ্যরাতের ভোটডাকাত এ সরকার জনগণের তোয়াক্কা করে না, ভোটের তোয়াক্কা করে না সেজন্য সরকারের কোনোকিছুতেই কোনোকিছু যায় আসে না। সরকার-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে ব্যবহার করছে। শ্রমিক আন্দোলনে হামলার জন্য দায়ী পুলিশের বিচার করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের নায্য দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করতে হবে নতুবা এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে সরকারকে বিদায়ের সংগ্রাম আরও বেগবান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।