ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফয়সালা হবে রাজপথে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
ফয়সালা হবে রাজপথে: গয়েশ্বর

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যে কাজটা করলে সরকারের পতন হবে, সেই কাজটাই আমাদের করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কৃপণতা করলে চলবে না।

জনগণের লড়াই-সংগ্রাম কখনো বৃথা যায় না এবং ব্যর্থ হয় না। আজকে চারিদিকে বেজে উঠেছে দলমত নির্বিশেষে এই সরকারের পদত্যাগ, যার ফয়সালা হবে রাজপথেই।

বুধবার (০৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক কথা শুনলাম উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, এখন শুনলাম পদ্মা সেতু নাকি আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর নাকি সে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। উপস্থিত নেতাকর্মীদের বলব, এখন আমাদের কাজটা করতে হবে। যে কাজ করলে এই সরকারের পতন হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা যে আন্দোলন করছি, সেই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক সঙ্গে চলতে হবে। ‘বাংলাদেশ যাবে কোনো পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’- আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই স্লোগানকে আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য পূরণ না হবে অর্থাৎ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেই আমরা ঘরে ফিরব। আমাদের এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর আরও বলেন, সম্প্রতি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। কিন্তু সরকারের লোকজন বলতে চাইছে, এটা নাকি তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ক্ষমতাসীনদের বলব, বিএনপি কারো দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগে। বিএনপি খুন-খারাবিকে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার মধ্যদিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে এসেছেন। ৭ নভেম্বর হচ্ছে দেশপ্রেমিক জনতার একটি স্লোগান। এটি গণতন্ত্রকে মুক্ত করার স্লোগান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলব, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আপনার নেত্রীকে মারার হুমকি দেব কেন? এই অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আপনারা স্লোগান দিচ্ছেন জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো। এই আগুন আপনাদের জ্বালানোর দরকার নেই। শেখ হাসিনা নিজেই জ্বালিয়েছে। কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আগুন জ্বলেনি? গার্মেন্ট শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, আন্দোলন করলে বেতন এক পয়সাও বাড়বে না। কী মজার জিনিস! গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। তিন মাস আগে শ্রমিকরা যে বেতন পেতেন তাতে তাদের চলতো, কিন্তু এখন সংসার চলে না। জিনিসপত্রে দাম বেড়েছে। এই শ্রমিকরা যদি টিকে থাকতে না পারে তাহলে গার্মেন্ট টিকবে না। রেমিটেন্সও বন্ধ হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াছিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, এস এম জিলানী, গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, নাজমুল হক অভি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।