নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পাশে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতাকর্মী ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য ও বোমা হামলায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া নেতা বাবু চন্দন শীল।
মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল।
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে নগরীতে ছাত্রলীগের একটি শোক র্যালি হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য চন্দন শীল বলেন, আজ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা আসতে পারলেন না ফুল দিতে। তাকে আইসিটি আইনে একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। মোশতাকের বংশধররা এখনও আওয়ামী লীগের ভেতরে আছে। খোকন সাহা আজ হাজিরা দিতে গিয়েছেন তাই আসতে পারেননি।
আওয়ামী লীগের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল এ ব্যাপারে কোনো কথা বলে না। কেউ কেউ বোঝানের চেষ্টা করে যে এটা আওয়ামী লীগেরই সাজানো ঘটনা। তারা এখন চুপচাপ। তারা এ ঘটনার কোনো বিচার চান না।
আমাদের কথা একটাই, একুশ বছর পার হলো তো, যারা মারা গেছেন তারা তো মারাই গেছেন। রতন দাস বেঁচে আছেন, আমি বেঁচে আছি। বেঁচে যেহেতু আছি আমাদের একটাই প্রত্যাশা বিচারটা যেন দেখতে পারি। আমরা বিচারটা দেখে যেতে চাই।
তিনি বলেন, একটা চার্জশিট হয়েছে। সেখানে মুফতি হান্নানসহ কয়েকজনের নামও এসেছে। এখানে মাস্টারমাইন্ড বা পরিকল্পনাকারী আছে। আমি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাবো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতেই আমাদের ত্রিশ বছর সময় লেগেছিল। এটা আমাদের দেশের একটা কালচার দীর্ঘদিনে বিচার পাওয়ার।
বিচার হবেই, শেখ হাসিনার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, মূলত তাকে ও তার সঙ্গে যারা ছিলাম, সবাইকে একসঙ্গে হত্যা করার জন্য এ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া তখন সংসদে বলেছিলেন তোমাকে দেখে নেব। জানি না এটা সেই দেখে নেয়ার অংশ কি-না৷
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলার ২১ বছরপূর্তি ১৬ জুন। ২০০১ সালের ১৬ জুন রাতে শহরের চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত কার্যালয়ে বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছিলেন সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানসহ আরও অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এমআরপি/এসআইএস