ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কুমিল্লায় নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়েছে ইসি: ওবায়দুল কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
কুমিল্লায় নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়েছে ইসি: ওবায়দুল কাদের ফাইল ছবি

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক) একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতারা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরূপ মন্তব্য করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন কাদের।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থাকে নস্যাৎ করতে দীর্ঘদিন যাবৎ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই বিএনপি  নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা, অংশগ্রহণ করলেও পরাজয়ের ভয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষোদগার করাসহ গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি বিরোধী আচার-আচরণ করে আসছে। গতকাল (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিএনপির সেই চিরাচরিত রূপ পুনরায় প্রতিফলিত হয়েছে।  

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের চিরায়ত কাল্পনিক নাটকীয় মন্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে। তারা যেমন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তেমনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। একই সঙ্গে দলীয়ভাবে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের দলের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিছু কিছু প্রার্থীকে তারা দল থেকে বহিষ্কার করে। আবার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে দূরভিসন্ধিমূলক মন্তব্য করে।  

কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। যা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। আজ যেনতেন প্রকারে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপির দলীয় চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মো. মনিরুল হক সাক্কুসহ আরও দুই জন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই তাদেরকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের নাটক করা হয়। একদিকে নির্বাচনে তারা দলীয় প্রার্থী দিবে না, প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না; অন্যদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হবে। আর তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার দায় দেশের জনগণ, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর চাপিয়ে দেবে।  

১৫ জুনের কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।  

তাঁর ভাষ্য, নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম সহ বিএনপি নেতারা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অবাস্তব, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরূপ মন্তব্য করেছে।  

বিবৃতিতে ওয়াদুল কাদের আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন- বহুমাত্রিকতা বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ! ‘বহুমাত্রিকতা’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। আমরা বিএনপিকে দেখি বিভিন্ন সময় নানা ছদ্মবেশে বহুরূপী হিসেবে পথ চলতে। যাদের সুনির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। বিএনপি কখনোই বহুত্বের সমন্বয়ে বিশ্বাসী ছিল না। তাদের জন্মই হয়েছে স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে- মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে। তারাই স্বাধীন বাংলাদেশে বহুত্বের সমন্বয়বাদী উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ধারাকে নস্যাৎ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এসকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।