ঢাকা: সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
রোববার (১৯ জুন) দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে যুক্ত করে দেশের মানুষের এ সংকটময় সময়ে জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। দেশবাসীকেও এই বানভাসি মানুষের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তারা।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে জরুরিভিত্তিতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান—
১. বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে নৌকাসহ প্রয়োজনীয় নৌযান, হেলিকপ্টার ব্যবহার।
২. নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করা।
৩. বন্যার্তদের উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য জরুরি বাজেট বরাদ্দ।
৪. প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ মেডিক্যাল টিম পাঠানো।
৫. রাজনৈতিক-সামাজিক-গণসংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠসমূহের উদ্যোগে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের পরিবেশ তৈরি করা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দুর্নীতি, সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ননীতি ও প্রকল্পের কারণে একদিকে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে একই বাঁধ প্রতি বছর ভাঙছে। অভিন্ন নদীসমূহে বাঁধ দেওয়া, পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে নদীগুলোর নাব্যতা ধ্বংস হয়েছে। নানান প্রকল্প ও দখলের কারণে জলাধার ভরাট করায় বর্ষাকালে বৃষ্টি পানি ধারণের জন্য জায়গার অভাব। ফলে প্রতিবছর বন্যায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে কৃষি-ফসল, মরছে মানুষ, গবাদি পশু, ধ্বংস হচ্ছে বাস্তুসংস্থানসহ জীব ও উদ্ভিদ জগতের বহু প্রাণ। প্রতি বছর এই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রকৃতিবিরোধী প্রকল্প ও জনবিরোধী নীতির কারণেই দুর্যোগ বাড়ছে। সুতরাং এসবের সম্পূর্ণ দায় সরকারের।
সারাদেশে গণসংহতি আন্দোলনের সকল নেতাকর্মী-সদস্যদের বানভাসি মানুষের সহযোগিতায় বিশেষ তৎপরতা ও উদ্যোগী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এমজেএফ