ঢাকা: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা। সুনির্দিষ্ট নয়টি অভিযোগ এনে আমিনুলকে ঢাকা-১৮ আসনে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন তারা।
যে নয়টি অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা আমিনুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—কোনো কারণ দর্শানো বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ঢালাওভাবে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা; মিথ্যা ও মনগড়া তদন্ত রিপোর্টের মাধ্যমে একটি পক্ষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া; একটি পক্ষকে সুবিধা দিতে সমন্বয়হীন কমিটি গঠন করা; ঢাকা-১৮ আসনের সম্মেলনে কোনো জাতীয় নেতাকে অতিথি না করে মনগড়া ফলাফল দিয়ে একটি পক্ষকে খুশি করা; দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া; ১ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড সম্মেলনে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদকারীদের ওপর স্বপ্রণোদিত হয়ে গায়ে হাত তোলা।
স্বজনপ্রীতি এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিতর্কিত লোকদের কমিটিতে আনাসহ এ ধরনের আরও কিছু কারণের কথা উল্লেখ করে ঢাকা-১৮ আসনের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা আমিনুলকে উত্তরায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। তারা আরও ঘোষণা করেন, এখন থেকে আমিনুল ঢাকা-১৮ আসনে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না।
ওয়ার্ড সম্মেলন চলাকালে হট্টগোলের অভিযোগে নগর উত্তর বিএনপি ১৪ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়ে বিমানবন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও বহিষ্কৃত নেতা এস এম নুরুল ইসলাম নুরু বাংলানিউজকে বলেন, বহিষ্কার আদেশ ওঠানো ও কমিটি সমন্বয়ের মাধ্যমে পুনর্গঠন না করলে আমিনুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ চলবে। আমাদের কথা পরিষ্কার, উত্তরায় যেখানে আমিনুল সেখানেই প্রতিরোধ।
তিনি বলেন, আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। অনৈতিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবাইকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যতদিন আমাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না হবে ততদিন আমিনুল হককে ঢাকা-১৮ আসন এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমিনুল হকের মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ