ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অস্থিতিশীল জ্বালানির বাজার, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
অস্থিতিশীল জ্বালানির বাজার, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা: যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে কোনো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেলক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এই সংকট থেকে উত্তরণ হবে বলেও তিনি জানান।



মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

লোডশেডিংয়ের কারণে সরকারের পতন হবে, বিএনপি নেতাদের এমন রঙিন খোয়াব অচীরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কী বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলতো, শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে। জনগণ বিদ্যুৎসংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনও ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথা। বিএনপি আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়ে ছিল খাম্বা!

করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে, বাংলাদেশেও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রতিকালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারও কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেলক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাপানের মতো উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না, একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও। সবাইকে এই সংকটকালীন রেশনিং করতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, উন্নত রাষ্ট্র আমেরিকাতেও এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে এনার্জির ব্যবহার লিমিট করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩০০-১৪০০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাসের প্রয়োজন, সেখানে শিল্প ও কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে এক হাজার মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সম্ভব হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।

দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে চাঙা রাখার লক্ষ্যে সরকার শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে জানিয়ে কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত সংকটময় পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় সরকার ও জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে এবং রেশনিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকারের গৃহীত এবং গৃহীতব্য ব্যবস্থার সঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

সাময়িক এ অসুবিধায় ধৈর্য ধরার এবং সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন তাঁর ওপর অতীতে যেমন আস্থা রেখেছেন, এখনও রাখুন।

ওবায়দুল কাদের কারো কথায় কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এসকে/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।