ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশের মানুষ আর যেনতেন নির্বাচন চায় না: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
দেশের মানুষ আর যেনতেন নির্বাচন চায় না: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই কিছু রাজনৈতিক নেতা মনে করেন তাকে গালি দেওয়া হয়েছে। আসলে, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে।

দেশের মানুষ আর যেনতেন নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় শতকরা ৮০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বারবার সভা ডেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে ইভিএম এর গুণাগুণ বর্ণনা করছে। নির্বাচন কমিশনের বোঝা উচিত দেশের মানুষ কোনো কারচুপির নির্বাচন গ্রহণ করবে না।  

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ইভিএম বর্জন করছে, তখন নির্বাচন কমিশন ইভিএম এর গুনগান শুরু করেছে। এতে, জনমনে এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এখনো দেশের সব ভোটার প্রার্থীর নাম পড়ে ভোট দিতে পারেন না, মার্কা দেখে নির্বাচনে ভোট দেন। এমন বাস্তবতায় ইভিএম-এ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা দুরভিসন্ধি বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।  

তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করার পর দেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। তারা দেশের জনগণের স্বার্থের রাজনীতির বিপরীতে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছে। দল দুটি উৎসবের নির্বাচনকে সহিংস করে তুলেছে। তাই এখন নির্বাচন যেন যুদ্ধ। যে দল জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হবে, তাদের নিশ্চিহ্ন হবার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পরাজিত দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে। এটা কোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না। এমন বাস্তবতা থেকে দেশ ও দেশের রাজনীতি নিরাপদ করতেই জাতীয় পার্টির সংগ্রাম।  

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফকরুল ইমাম, হাবিবুর রহমান, মি. সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল  ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ টি ইউ তাজ রহমান, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, এমরান হোসেন মিয়া, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল আলম রুবেল, জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান, মো. শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, পনির উদ্দিন  আহমেদ ও আহসান আদেলুর রহমান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।