ঢাকা: ২০২১ পঞ্জিকা বছরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলের আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রিজভী বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে গত বছরের (২০২১ পঞ্জিকা বছর) আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট জমা দিলাম। গত বছর আমাদের দলের আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। আর মোট ক্ষতি ঘাটতি রয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা, যা ব্যাংক রিজার্ভ থেকে মেটানো হয়েছে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংলাপ রাজনৈতিক বিষয়। বিএনপি মহাসচিব ইতোমধ্যে বলেছেন, আমরা এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাশীল নই। কেননা, এখন পর্যন্ত যে কথাবার্তা দেখছি, সেটা একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে- এটা আমরা আশা করছি না। এটা তাদের আচরণের মধ্য দিয়ে দিয়ে প্রমাণ করছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচন, নির্বাচনের সংলাপ এটা নিয়ে তো আর আলাপ নয়। হিসাব দিতে হয়, আইনে আছে তাই দিলাম। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের কথা হলো, যে সরকার আছে এই সরকার; সমস্ত রাজনৈতিক দল জানে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানে, অবৈধ সরকার। তার অধীন কোনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আর এটা সরকার নিজেই প্রমাণ করছে। সুতরাং সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। এবং সেই সরকারের অধীনে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, তখন নির্বাচনে যাবো।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের প্রভিশন আছে, এর আগে সংশোধনের নজির আছে। আবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সন্নিবেশ করতে হবে।
ইসির আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সটেনশন হিসেবে যদি ব্যবহার করেন, আগামী নির্বাচন যদি তার ইচ্ছা অনুযায়ী করতে চান এবং কর্মকাণ্ডের মধ্য যদি সেই ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তার অধীনে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিশ্চয় আন্দোলন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
ইইউডি/এসএ