ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে ২০০১-এর চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে ২০০১-এর চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে’ মির্জা আজম। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ: আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে ২০০১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।  

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

মির্জা আজম বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে খুনি জিয়ার পুত্র তারেক। সে প্রধানমন্ত্রী হলে আমাদের কি অবস্থা হবে? আজ থেকে ১৩ বছর আগে আমরা ভিক্ষুকের জাতি ছিলাম। আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। আমাদের অর্থবিত্তে পরিবর্তন এসেছে। আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে ২০০১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে। আপনারা জানেন ২০০১ সালের পরে আমাদের শামীম ওসমানের মতো জননেতা দেশে থাকতে পারেনি। আমাদের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। শামীম ওসমানরা দেশে থাকলে তাদেরও একই পরিণতি হতো।

তিনি বলেম, আজ ২৫ বছর পর এখানে সম্মেলন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তেও নারায়ণগঞ্জের অনেক অবদানের কথা রয়েছে। এ সোনারগাঁ উপজেলার ওপর দিয়েই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলে গিয়েছে। আজ আমরা আনন্দিত যে এখানে সম্মেলন হচ্ছে। এ সোনারগাঁ উপজেলার মানুষ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে।

আওয়ামী লীগ টানা তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে উল্লেখ করে মির্জা আজম বলেন, আজ আমরা সবাই অর্থবিত্তে পরিপূর্ণ। একবার ভাবুন তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে কি হবে? আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। এ সাংগঠনিক সক্ষমতার মাধ্যমে আমরা সোনারগাঁ থেকে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করব। আমরা নেত্রীকে জানাবো সোনারগাঁয়ের মানুষের প্রত্যাশা। আগামী নির্বাচনে যেন এখান থেকে নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়। তবে আপনারা কিন্তু ভেদাভেদ সৃষ্টি করে নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার ইতিহাস আছে। তাই বলি সে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

দলের ভেতর অনৈতিক চর্চার সমালোচনা করে এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের নতুন ট্রেডিশন শুরু হয়েছে পদ বানিজ্য, মনোনয়ন বানিজ্য। এগুলো করলে দেখবেন শেখ হাসিনার সবে অর্জন বিনষ্ট হয়ে গেছে। তিনি সব দিকে উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীর কারণে সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবিউল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল ক্রান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহিদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
এমআরপি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।