ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইসির ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত ‘গরিবের ঘোড়ারোগ’: চুন্নু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
ইসির ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত ‘গরিবের ঘোড়ারোগ’: চুন্নু

ঢাকা: জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত ‘গরিবের ঘোড়ারোগ’। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ‘পল্লীবন্ধু পরিষদের’ সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রত্যেককে আমরা চিনি। এরা সবাই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভালো নিয়োগ, প্রমোশন এবং পোস্টিং পেয়েছেন। এরা সবাই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা ছাড়া তিনি নিয়োগ দিতে পারেন না। তাই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরাই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পেয়েছেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএমে নির্বাচন বন্ধ করেছে। ভারতেও সমালোচনা হচ্ছে ইভিএমে নির্বাচন নিয়ে। ভারতের কংগ্রেস ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর ইভিএমে ভোট করবে না। সারা বিশ্বেই ইভিএম নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএম কিনতে উঠেপড়ে লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, ইভিএমের কোনো দোষ নেই। কিন্তু যারা ইভিএম পরিচালনা করবে তাদের তো দোষ আছে। তাছাড়া ইভিএমে অনেক সময় আঙুলের ছাপ মেলে না। এতে ঝামেলা সৃষ্টি হয়, ভোটগ্রহণে বিলম্ব হয়। দেশের মানুষ এখনো ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। তাছাড়া দেশের মানুষ মনে করে, ইভিএম হচ্ছে নিরবে ভোট কারচুপির মেশিন।

নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হলো। শুধু শাসকদল শুধু ইভিএমে ভোট নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছে। সরকারের শরিক কিছু দল বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে ইভিএম চেয়েছে। আর দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। যদি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মতামতের গুরুত্ব না থাকে তাহলে কেন আমাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করলেন? নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রমাণ করে তারা নিরপেক্ষ নয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।