ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হামলার মুখে সেক্রেটারিকে রেখেই ঢাকায় ফিরে গেলেন ছাত্রদল সভাপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
হামলার মুখে সেক্রেটারিকে রেখেই ঢাকায় ফিরে গেলেন ছাত্রদল সভাপতি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদল নেতারা। এ সময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে ফেলেই ঢাকায় ফিরতে বাধ্য হন সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার আড়াইহাজার বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  

দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের নিহত নেতা নয়নের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ডজনখানেক নেতা। বিকেলে তারা ফিরছিলেন ঢাকার দিকে। এ সময় তারা হামলার শিকার হন।  

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তির তথ্য অনুযায়ী, হামলার সময় ছাত্রদলের সভাপতি শ্রাবণ ছিলেন একটি গাড়িতে। সেই গাড়ি থেকে নেমে একাই একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই ঢাকা ফেরেন। তবে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করেন জুয়েল। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে ফেলেন। তিনি মারধরের শিকার হন।

আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ উল্লাহ বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসেছি। এর আগেই এখানে হামলা করে আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। উপস্থিত স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ প্রথমে তাকে মারধর করেন। পরে তাকে আবার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে মারধরে রক্তাক্ত করা হয়।  

ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ জুয়েলকে মারধর করার এক পর্যায়ে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে স্থানীয় জবেদ আলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাড়িতে করে রূপগঞ্জের গাউছিয়া পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তিনি ঢাকা ফিরে যান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ বলেন, রামচন্দ্রদী ব্রিজে তাদের একটি গাড়ির সঙ্গে একটি অটোরিকশার দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশা চালক ও দুজন যাত্রী পড়ে যান। পরে ফয়সাল হাসপাতালের সামনে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চালকরা তাদের ধরে ফেলেন এবং ধাওয়া দেন। এ সময় ছাত্রদল সভাপতি তাকে ফেলে চলে যান বলে সবাই দেখেছে।  

তিনি বলেন, এ সময় তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ভাইকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে আমি তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আমাদের কার্যালয়ে আনি। দেখি তার রক্ত বের হচ্ছে। হাসপাতালে নিতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে গাড়ি করে দিতে। তিনি ঢাকা ফিরে যাবেন। পরে আমি তাকে একটি প্রাইভেট কার ঠিক করে দিই। হামলার প্রশ্নই ওঠে না।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, কোনো অভিযোগ পাইনি, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
এমআরপি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।