ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

শনিবার এক ঘণ্টার অন্ধকার

আরিফুল ইসলাম আরমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১২
শনিবার এক ঘণ্টার অন্ধকার

ঢাকা : এক ঘণ্টার জন্য অন্ধকারে ডুবে যাবে বিশ্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে বিশ্বের ১৩৫টি দেশের ৫ হাজার শহরের মানুষ শনিবার এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।



নিজ নিজ দেশের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই এক ঘণ্টা মানুষ নিজ বাড়ি কিংবা কর্মস্থলের বিজলি বাতি নিভিয়ে রাখবেন।

উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী এই ‘বাতি নেভানো কর্মসূচি’র উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ার্ল্ড লাইফ ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ) নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। ২০০৭ সাল থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছে।

২০০৮ সালে বিশ্বের ৩৫ দেশের পাঁচ কোটি মানুষ এবং ২০০৯ সালে ৮৮ দেশের ৪ হাজার ৮৮ শহরের ১০০ কোটি মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। আর ২০১১ সালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ১২৮ দেশের মানুষ।

শনিবারের আর্থ আওয়ারে প্রথম অন্ধকার হবে সিডনির অপেরা হাউজ এবং হারবার ব্রিজ। এর পরপরই আলো নিভে যাবে টোকিও টাওয়ার, টাইপে ১০১ এবং চীনের গ্রেট ওয়ালে।

আর্থ আওয়ারের মূল লক্ষ্য হলো জনগণকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন ও জ্বালানি শক্তি সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা।

এদিকে সরকারিভাবে শনিবার প্রথমবারের মতো ‘আর্থ পাওয়ার’ পালন করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক- ই- ইলাহী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কার্বন নিঃসরণ, জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলায় গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কয়েক বছর ধরে বিশ্বে এই আর্থ আওয়ার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এবছর সরকারিভাবে একর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রেখে বিশ্বের জ্বালানি সংরক্ষণে আর্থ আওয়ার কর্মসূচিতে শরিক হোন। ’

একর্মসূচি পালনের জন্য সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির জানান, ‘এক ঘণ্টা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে পারলে ৪০০ টন তরল জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। এসময়ে ১৬ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ’

তিনি আরও জানান, এসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। তবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ব্যবহারকারিই তা বন্ধ রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১২

এএ/ইএস
সম্পাদনা : ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।