ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

উপদেষ্টার হটকারি সিদ্ধান্তের জের

কুইক রেন্টালে চলছে হাজার কেটি টাকার লুটপাট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১২
কুইক রেন্টালে চলছে হাজার কেটি টাকার লুটপাট

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহীর স্বপ্নের কুইক রেন্টাল আজ পুরো জাতির জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারকে দাঁড় করিয়েছে অন্ধকারের সামনে।

এর মাধ্যমে গুটিকয় মানুষ দুই হাতে কামিয়ে নিলেও দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ বিপাকে।

বিদ্যুৎ ছাড়াই শোধ করতে হচ্ছে হাজার কোটি টাকা, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনীতিতে। সুকৌশলে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। সমালোচকেরা বলছেন, কুইক রেন্টালের নামে চলছে কুইক লোপাট কার্যক্রম। আর এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন_ উপদেষ্টা হয়ে পুরো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়ে একের পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কার স্বার্থে? কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ খাতকে ডুবিয়ে দেশের মানুষের কাঁধে চাপালেন বিশাল ভর্তুকির বোঝা। যোগ্যতা যাচাই না করে পছন্দের দুটি কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব। সংসদে এ জন্য এক গ্রুপকে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের ম্যারাডোনা ও অন্যটিকে মেসি। গ্যাস সেক্টর তুলে দিলেন বিদেশি কোম্পানির হাতে। এ নিয়ে সমালোচনাকারীদেরও এক হাত নিতে ছাড়লেন না তিনি। ক্ষমতাসীন দলের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ দশম সংসদ অধিবেশনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, `এ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী চালান, না উপদেষ্টা চালান? মন্ত্রীর কী ক্ষমতা, উপদেষ্টার কী ক্ষমতা, তা আমরা জানি না। উপদেষ্টাকে ফোন করলে তিনি তা ধরেন না। সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। সংসদে দফায় দফায় বিতর্ক। গায়ে মাখেন না উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী। গণবিরোধী দায়হীন উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীর দম্ভোক্তি, কুইক রেন্টালের সমালোচনাকারীরা দেশের শত্রু, অজ্ঞ, জ্ঞানপাপী না হয় রাষ্ট্রদ্রোহী।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কুইক রেন্টাল বিদু্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকার জাতীয় অর্থনীতির অপচয় করছে। এখন রাজস্ব খাত থেকে এর ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে। দুর্নীতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার। এ কারণে সরকার সংসদে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ পাস করেছে। এতেই বোঝা যায়, ক্ষমতাসীনরা লুটপাটের জন্যই এ অধ্যাদেশ পাস করেছে। এ ছাড়া বিনা টেন্ডারে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এটা বিশ্বের কোথাও নেই। সময় হলেই জাতির কাছে বিএনপি তাদের সব দুর্নীতি তুলে ধরবে বলে জানান ড. মোশাররফ।

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমান সরকার উপদেষ্টাশাসিত সরকারে পরিণত হয়েছে। উপদেষ্টারা এসব হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলেও দায় মন্ত্রীদেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তৌফিক-ই-ইলাহী কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছেন। বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির হাতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাত তুলে দিচ্ছেন। কুইক রেন্টালের কারণে পুরো অর্থনীতি আজ বিপর্যস্ত। কিন্তু কেন এটা করছেন তা আমাদের জানা নেই। তৌফিক-ই-ইলাহী জ্বালানি সচিব থাকাকালে বিদেশি কোম্পানির দ্বারা টেংরাটিলা ও মাগুরছড়া গ্যাসকূপ দুর্ঘটনার ৪৫ হাজার কোটি টাকা জরিমানা আদায়েও বাধা দেন। অথচ ওই গ্যাস হলে আমাদের দুই বছরের বিদ্যুৎ উৎপাদনে আর চিন্তা করতে হতো না। উপদেষ্টা এসব করলেও এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তাকে প্রধানমন্ত্রীই নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে দেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করলেও কুইক রেন্টালের উচ্চমূল্যের পাওনা পরিশোধ করতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায়। এতে টান পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। এলসি খুলতে গিয়ে আমদানিকারকদের ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রগুলো চালাতে তেল আমদানি করতে গিয়ে দেনায় জর্জরিত বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম করপোরেশনও (বিপিসি)। দেনা কমাতে গত এক বছরেই জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ দফা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম সাড়ে তিন বছরে গড়ে আড়াই থেকে বাড়িয়ে প্রায় আট টাকা করা হয়েছে। আবারও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। বার বার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়ায় মানুষের জীবনমান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পেঁৗছেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রচলিত দরপত্র পন্থা অবলম্বন না করে এসব কেন্দ্র নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বড় অঙ্কের উপরির বিনিময়ে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে দুই হাতে কামিয়ে নিচ্ছেন বিদ্যুৎ খাতের গুটিকয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। আবার ওইসব প্রতিষ্ঠানের ত্রিমুখী লাভ নিশ্চিত করতে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয়, কেন্দ্র না চালালেও উচ্চ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং চার্জ নির্ধারণ, ভর্তুকি মূল্যে কেন্দ্রে তেল সরবরাহসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক ঊধর্্বতন কর্মকর্তা বলেন, একই সময়ে সামান্য বিনিয়োগ করে সরকারি কেন্দ্রগুলো মেরামত করে এসব ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেত। কিন্তু ব্যবসার সুযোগ না থাকায় সেদিকে যাননি সংশ্লিষ্টরা। এখন এ কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, যোগ্যতা যাচাই না করে এক সামিট গ্রুপকেই প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট কেন্দ্রের কাজ দেওয়া হয়েছে, যার এক হাজার মেগাওয়াটের বড় তিনটি কেন্দ্রই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর অর্থ_ রেন্টালগুলোর মেয়াদ আবারও বাড়তে যাচ্ছে।

এদিকে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল নিয়ে নানা মহলের সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী সমালোচনাকারীদের উল্টো দেশবিরোধী, অজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ৫ জুন রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি কুইক রেন্টালের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন, কুইক রেন্টালের সমালোচনাকারীরা অজ্ঞ, না হয় জ্ঞানপাপী, না হয় সরকারবিরোধী, না হয় দেশবিরোধী। উপদেষ্টার এ বক্তব্য নিয়ে ওই সময় নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সম্প্রতি রাজশাহীতে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বলেন, কুইক রেন্টাল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এর আগে আমাদের দেশপ্রেমকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কিন্তু গত অর্থবছরে যদি এককভাবে কোনো একটি বিষয় সামগ্রিকভাবে বাজেটের শৃঙ্খলাকে বিপন্ন করে, তা হচ্ছে কুইক রেন্টাল। পুরো বিষয়টি নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। এ ছাড়া কুইক রেন্টাল দিয়ে দেশের কোনো উন্নয়নও হয়নি।

সূত্রমতে, উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনা ছাড়াও প্রতি মাসে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং চার্জের নামে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ওপর ৯ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার ভাড়া দিতে হচ্ছে। এর বাইরেও কেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। আবার উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে অধিক দাম দিয়ে। ভাড়াভিত্তিক এসব কেন্দ্রের তিন দিকের লাভ নিশ্চিত করতে গিয়ে ঘোর অমানিশায় নিমজ্জিত হয়েছে বিদ্যুৎ খাত। বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ২০১০-`১১ অর্থবছরে ১২টি রেন্টাল ও ১৫টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে শুধু ভাড়া বাবদ দিতে হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ২৫১ ডলার। ডলার মূল্য ৭০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৯৭ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ৮৪০ টাকা। গেল অর্থবছরে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১২১ কোটি ৩১ লাখ ৮ হাজার টাকা। এ পুরো টাকাটাই শোধ করতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায়। অধিকাংশ ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রে বিদেশি মালিকানা বা বিদেশি অংশীদারিত্ব থাকায় এ টাকা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বৈদেশিক মুদ্রায় দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে চাপ পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরের চেয়ে ২০১১-১২ অর্থবছরে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রতি মাসেই সন্তোষজনক পর্যায়ে বেশি ছিল। তার পরও ২০১১-১২ অর্থবছরে ছয় মাসই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ হাজার মিলিয়ন ইউএস ডলারের নিচে ছিল। ২০১০-১১ অর্থবছরের মে মাসে যেখানে রিজার্ভ ছিল ১০ হাজার ৪৩১ মিলিয়ন ডলার, সেখানে গেল মে মাসে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বেশি আসার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫২০ মিলিয়ন ডলারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ম. তামিম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ হলে তাদের দেনা বৈদেশিক মুদ্রায়ই শোধ করতে হবে। আর স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় এসব কেন্দ্রের রেটও বেশি। এটা বৈদেশিক রিজার্ভে চাপ ফেলবেই। তাই এগুলো যত তাড়াতাড়ি তুলে দেওয়া যায় ততই মঙ্গল।

এদিকে এসব কেন্দ্রের ব্যয়ের বোঝা জাতির কাঁধে চাপলেও এর সুফল মানুষ পাচ্ছে না। অধিকাংশ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেরই উৎপাদন ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ, দেখানো হচ্ছে পিডিবির তেল সরবরাহের টাকা নেই বলে উৎপাদন কম হচ্ছে। গত মার্চ-এপ্রিলে তেল বাবদ যেখানে দৈনিক গড়ে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতো, সেখানে সম্প্রতি ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দেখা গেছে বেশ কিছু ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। অথচ, স্থাপনের পর থেকে এসব কেন্দ্রকে পূর্ণ ক্ষমতা ধরে বিল পরিশোধ করে আসছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যদিও চুক্তির শর্তানুযায়ী চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রগুলোকে উল্টো জরিমানা গুনতে হবে। ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে দিনে গড়ে ৬২৯ মেগাওয়াট। কিন্তু ভাড়া দিতে হয়েছে পুরো দুই হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা ধরে।

এদিকে ভাড়াভিত্তিক এ কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই বিপিসির তেল ভালো না বলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তেল ব্যবহার দেখাচ্ছে। বিপিসি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তি অনুযায়ী ভর্তুকি দামে ২১৭ থেকে ২১৮ মি. লি. জ্বালানি তেল লাগার কথা, কিন্তু পিডিবি ইতোমধ্যে ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চিহ্নিত করেছে, যারা প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৬০ মি. লি. তেল খরচ দেখাচ্ছে। এ কারণে ওই ১৩টি কোম্পানিকে ১৩০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুদকও তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পিডিবি চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর বলেন, বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে মনিটর করছেন। এ ব্যাপারে তারা শক্ত অবস্থানে। জ্বালানি তেলের মান নিয়ে বিপিসি চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক বলেন, মান নিশ্চিত হওয়ার পরই সরবরাহ করা হয়।

বাংলাদেশ সময় ১২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।