ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ভূ-গর্ভে নেওয়া হবে বিদ্যুৎ লাইন ও উপকেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪
ভূ-গর্ভে নেওয়া হবে বিদ্যুৎ লাইন ও উপকেন্দ্র ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দশ বছর পর ঝুলন্ত বিদ্যুৎ লাইন থাকবে না। সব সরিয়ে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।



শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিতরণ উপ-কেন্দ্রগুলোও আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থানান্তর করা হবে। বেশিরভাগ উন্নত দেশে উপ-কেন্দ্র মাটির নিচে রয়েছে।

তিনি বলেন, ঝুঁকিমুক্ত ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে সরকার। আমরা এক নতুন শতকের দিকে যাচ্ছি। সেখানে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ থেকে ৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম ও উন্নত দেশের সারিতে পৌঁছাতে চায়। এ লক্ষ্যে বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
 
পাচঁ বছরের মধ্যে এ খাতে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে। ইতোমধ্যে পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যার মধ্যে ভারতের টাটা,  রিলায়েন্সের মতো বড় বড় শিল্পগোষ্ঠিও রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের উন্নয়নের পাশাপাশি মানব সম্পদেরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। যুগোপোযোগী প্রশিক্ষণে মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে।

দক্ষ মানবসম্পদের অনেক ঘাটতি রয়েছে বলেও স্বীকার করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ সর্ম্পক গড়ে তুলতে চায়। এজন্য সাংবাদিকদেরও ভূমিকা গুরুত্বূর্পূর্ণ। ’

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাসী। আমি চাই তথ্য ভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করা হোক। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা লিখলে আমরা শিখতে পারি। তবে কেউ যেন অযথা কষ্ট না পায় সে দিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করব। পাশাপাশি ভালো দিকগুলোকেও তুলে ধরলে আমরা কাজে উৎসাহিত হব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।