ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

টেংরাটিলায় গ্যাসের বুদবুদ, ব্যবস্থা নিতে ডিসি’র চিঠি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৪
টেংরাটিলায় গ্যাসের বুদবুদ, ব্যবস্থা নিতে ডিসি’র চিঠি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলার পরিত্যক্ত গ্যাস কূপ থেকে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনটি দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।

শুক্রবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান, খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।



বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ, দোয়ারাবাজার উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পূর্ব) হেমায়েতুল ইসলাম, দোয়ারবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার প্রমুখ।

সরেজমিন টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডের পরিত্যক্ত কূপ ঘুরে দেখা যায়, কূপের আশে-পাশের এলাকার বিভিন্ন পুকুর, জমি, রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের ফাটল দিয়ে গ্যাস বুদবুদ আকারে বেরোচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে টেংরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

বিদ্যালয় দু’টি’র তখন থেকেই ফাটল ধরেছে। টেংরাটিলা পরিত্যক্ত গ্যাস ক্ষেত্রের নিরাপত্তা বেস্টনির ভেতর অনেক জায়গায় দিয়ে গ্যাসের সঙ্গে বুদবুদ আকারে কাঁদা মিশ্রিত পানি বের হচ্ছে।

টেংরাটিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, পাঠদানের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চালিয়ে যেতে হয়েছে। এতে টেংরাটিলা গ্রামের মানুষের মধ্যে আবারও আতংক দেখা দিয়েছে। সরেজমিন টেংরাটিলায় গিয়ে নাইকো’র বা বাপেক্সে-এর কাউকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান(ইন্সপেক্টর) শামছুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, টেংরাটিলায় নাইকো বা বপেক্সে কেউ থাকেন না। এখানে থাকেন তার নেতৃত্বে  ২৩ জন নিরাপত্তাকর্মী।  

সিকুরেট প্রাইভেট লিমিডেট নামে এক কোম্পানির মাধ্যমে তারা নাইকো’র নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে এখানে কাজ করছেন। কিন্তু গ্যাসক্ষেত্রটি সম্পর্কে তাদের তেমন কোনো ধারণা নেই।

দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক বাংলানিউজকে জানান, কোমলমতি শিশুরা না বুঝে বিভিন্ন ফাটল থেকে বেরনো গ্যাস বেলুনে ভরে আনন্দে আকাশে উড়াচ্ছে। যেকোনো সময় কোনো শিশু খেলার ছলে আগুন ধরিয়ে দিলে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ নিয়ে এলাকার লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।