ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ঘাটতি দূর করে শিল্প কারখানায় যাবে গ্যাস

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪
ঘাটতি দূর করে শিল্প কারখানায় যাবে গ্যাস

ঢাকা: চট্টগ্রামসহ সারা দেশের গ্যাস ঘাটতি দূর করে গ্যাসের প্রবাহ বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। তবে সবার আগে দেশের সব সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

যাতে করে দেশের কৃষককে সব মৌসুমে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় বলেও জানায় জিটিসিএল সূত্র।

জিটিসিএল সূত্রে আরও জানা যায়, দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে হলে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা জরুরি। এ লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করে দেশের গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করে সব শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৯৮২ কোটি। এরমধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ৫৮৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৩৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

‘মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প এলাকা চট্রগ্রাম বিভাগের মহেশখালী, পেকুয়া, বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলা। প্রকল্পের আওতায় ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের মোট ৯১ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সব শিল্প কারখানায় যাবে গ্যাস।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৫টি নদীর তলদেশে হরিজেন্টাল ডিরেক্টশনাল ড্রিলিং (ডিডিডি) পদ্ধতিতে ৩০ ইঞ্চি ব্যসের দুই কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। চট্রগ্রামের আনোয়ারাতে একটি সিটি গ্যাস স্টেশন (সিজিএস) এবং কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি কাসটুডে ট্রান্সফার মিটারিং স্টেশন (সিটিএমএস) স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির কাজ জুন ২০১৬ সাল নাগাদ শেষ করতে চায় জিটিসিএল।

এ প্রসঙ্গে জিটিসিএল-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক আবু সাঈদ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ব্যাপকভাবে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে ‘মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সারা দেশের গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করতে চাই। এর পাশাপাশি দেশের সকল শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে চাই।

শিল্পে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত প্রসঙ্গে আবু সাঈদ মাহমুদ বলেন, দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে হলে শিল্পের জ্বালানি নিশ্চিত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে আমরা প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। যাতে করে দেশের সব সার কারখানাসহ অন্যান্য শিল্পেও গ্যাস সরবরাহ করা যায়।

প্রকল্পটি প্রসঙ্গে জিটিসিএল সূত্র জানায়, সরকার গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

আমদানিকৃত এলএনজি গ্যাস রূপান্তকরণ পূর্বক দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে সরবরাহ করার লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা কক্সবাজার জেলার মহেশখালী দ্বীপের কাছে গভীর সমুদ্রে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলছে। দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চট্রগ্রাম এলাকায় সরবরাহের লক্ষ্যে মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পযর্ন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাস সম্পন্ন ৯১ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।