ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সার্ক দেশগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের গ্রিড নির্মাণে ঐকমত্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪
সার্ক দেশগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের গ্রিড নির্মাণে ঐকমত্য

ঢাকা: সার্কভুক্ত দেশগুলোতে আন্তঃদেশীয় গ্রিড স্থাপনের বিষয়ে একমত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তারা। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিনিময় নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।



ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্কভুক্ত দেশগুলোর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের দুইদিনব্যাপী এক যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বৈঠকের শেষ দিন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক গাফরি এম ইব্রাহিম বলেন, বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। দুইদিনব্যাপী বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন  করা হবে।

বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান  (বিআরসি) এ আর খান বলেন, সার্কের দেশুগুলোর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে সব দেশই উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। মাথাপিছু গড় বিদ্যু‍ৎ ব্যবহারের পরিমাণ হচ্ছে ৫শ’ কিলোওয়াট ঘণ্টা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড় ব্যবহার হচ্ছে ১৩ হাজার কিলোয়াট।

এ আর খান বলেন, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি বেশ কিছু সম্ভাবনাও আছে। আমরা এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিনিময় জরুরি। এ নিয়ে আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইনের দরকার।

এ ক্ষেত্রে বাঁধাগুলো চিহ্নিত করে দূর করা হবে বলে জানান তিনি।

‘বৈঠকে এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন’ জানিয়ে এ আর খান বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি (গ্যাস) বিনিময়ে বাঁধা দূর করতে সার্ক এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নেপালে অনুষ্ঠিত সার্কের রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকে বিদ্যুৎ বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে, এর সূত্র ধরেই কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

এ আর খান বলেন, আমরা কোয়ালিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বেচাকেনার বিষয়ে একমত হয়েছি।

বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুতের একমাত্র বিক্রেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার কোড তুলে দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকে পণ্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।
 
নতুন এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ। বর্তমানে অনেক বেসরকারি কোম্পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কিন্তু তাদের সরাসরি বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনে সরকার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ পদ্ধতি চালু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রির সুযোগ পাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ১৯০১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে প্রথম যখন বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়। তখন বাণিজ্যিক বিদ্যুতেই উৎপাদন হতো। পরে রাষ্ট্রীয় তা করণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪, আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা,

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।