বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দুই ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্তে গত বছরের ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশ কমানো হয়। তার আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি।
তেলের দাম কমানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বিপু বলেন, জ্বালানি তেলের দাম দু’ধাপে কমানোর কথা ছিল।
“আমরা সরকারকে অনুমতির জন্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে আগামী বছরেও তেলের দাম বাড়তে পারে। সে কারণে এ মুহূর্তে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো প্রাইজ অ্যাডজাস্টমেন্ট না করার। ”
তাহলে তেলের দাম কমছে না- প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে না কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে।
গত আড়াই বছরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে বাঁচাতে দীর্ঘদিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল।
ভর্তুকি অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও ১৬-১৭ হাজার কোটি টাকা সরকার পাবে। এই টাকা শোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআর/এসএইচ