ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

‘জ্বালানি নিরাপত্তায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করা জরুরি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১
‘জ্বালানি নিরাপত্তায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করা জরুরি’

ঢাকা: দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি বলে মত দিয়েছেন জ্বালানি বিষয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।

তাদের মতে, যে গতিতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান হচ্ছে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়।



সোমবার রাজধানীর গুলশানের বে-গ্যালারিয়ার হলরুমে জ্বালানি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের দিনব্যাপী এক কর্মশালায় তারা এ মন্তব্য করেন।

শেভরন বাংলাদেশের আয়োজিত ওই কর্মশালায় প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার ২৫ সাংবাদিক অংশ নেন।

সাংবাদিকরা বলেন, তেল-গ্যাস আবিষ্কারে আন্তর্জাতিক সাফল্য ১ অনুপাত ১০ হলেও বাংলাদেশে আবিষ্কারের সাফল্য ১ অনুপাত ৩ দশমিক ৩। বাংলাদেশের ভুখ-ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৭ টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে।

অনুসন্ধান কার্যক্রমে গতি আনতে ১৯৯৫ সালে জাতীয় জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়ন হলেও কোনও সরকারেই যথাযথভাবে মেনে চলেনি এ নীতিমালা।

সীতাকু-ে ১৯১০ সালে প্রথম অনুসন্ধান কূপ খননের পর গত ১০০ বছরে বাংলাদেশের ভূ-খ-ে মাত্র ৭৭টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে।

৭৭ টি অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে মাত্র ২৩টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।

তেল-গ্যাস প্রাপ্তির অনুপাত অনেক বেশি হলেও শুধুমাত্র ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা না করায় বাংলাদেশ অন্ধকারে রয়েছে বলেও মত দেন সাংবাদিকরা।

তারা আরও মনে করেন, ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে অনেক খনিজ সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মশালাটি পরিচালনা করেন শেভরন বাংলাদেশের প্রধান ভূ-তত্ত্ববিদ ড. এইচএম শামসুদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন শেভরন বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবরিনা।

ভূ-তত্ত্ববিদ কর্মশালায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের বিভিন্ন ধাপসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানি অনুসন্ধান, বর্তমান মজুদ চাহিদা এবং অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি আরও জানান, শেভরন বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সমন্বিত গ্যাস কোম্পানি শেভরন কর্পোরেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। শেভরন কর্পোরেশনে প্রায় ৫৮ হাজার লোক কর্মরত রয়েছে।

তিনি বলেন, শেভরনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন এবং স্থানান্তর করে থাকে।

এছাড়া বিভিন্ন পেট্রো কেমিক্যাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বায়োফুয়েলসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পদ উন্নয়নে কাজ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান রামোনভিত্তিক এ কোম্পানিটি কন্টাক্ট শেয়ারিংয়ের আওতায় বাংলাদেশের বিবিয়ানা, জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উৎপাদন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।