প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিস্ট্রিবিউশন চার্জসহ ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড কমিশনে পৃথক পৃথক আবেদন করে।
কমিশন মূল্য বৃদ্ধির আবেদনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ১১, ১২, ১৯, ২০, ২১ এবং ২৫ জুন তারিখে গণশুনানির আয়োজন করে।
কমিশন আরো জানায়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখের এসআরও-এর মাধামে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ থেকে এলএনজি আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া, ওই বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের পৃথক দু’টি এসআরও-এর মাধ্যমে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক এবং আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর ও অগ্রিম মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান ‘গ্যাস মূল্যহার বণ্টন’ বিবরণী সংশোধন করে কমিশন আদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের ১১ জুন থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ওপর শুনানি শুরু করে বিইআরসি। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় দাম ৭ টাকা ৩৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা করার প্রস্তাব করে কোম্পানিগুলো। বর্তমানের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর যুক্তি হিসেবে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বিইআরসিতে দেওয়া এক উপস্থাপনায় দেখানো হয়েছে, ২৫ টাকা ১৭ পয়সা দরে কিনে এর সঙ্গে ভ্যাট, ব্যাংক চার্জ, রিগ্যাসিফিকেশন চার্জসহ নানা ধরনের চার্জ যোগ করে আমদানি করা এলএনজির বিক্রয়মূল্য মূল্য দাঁড়াবে ৩৩ টাকা ৪৪ পয়সা। এই অঙ্ক দেশে বর্তমানে বিক্রীত গ্যাসের চার গুণ বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ