ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নরসিংদীতে ২ শতাধিক অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
নরসিংদীতে ২ শতাধিক অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: বাংলানিউজ

নরসিংদী: তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন নরসিংদী আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ের উদ্যোগে সদর উপজেলায় দুই শতাধিক অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলায় মহিষাশুড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি কোতালিরচর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।

তিতাস গ্যাস অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি একটি দালাল চক্র ওই ইউনিয়নের দড়িকান্দি কোতালিরচর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক বসত বাড়িতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে গ্যাস-সংযোগ দিয়েছে।

বিষয়টি তাদের নজরে এলে তিতাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নেয়।

বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মহিষাশুড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি কোতালিরচরে তিতাস গ্যাসের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। অভিযানে মূল লাইন থেকে আড়াই ইঞ্চি পাইপ দিয়ে নেওয়া অবৈধ দু’টি সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই সংযোগ লাইনগুলো দিয়ে আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি-ঘরে অবৈধভাবে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়েছিল বলেও জানায় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাধবদী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ ও তার সঙ্গী জাহাঙ্গীর মিয়াসহ বেশ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে এ কাজ করে আসছেন। তারা প্রতিটি বসত বাড়িতে সংযোগ দিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা প্রতি মাসে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ নেওয়া বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিলও নিচ্ছেন।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন নরসিংদী আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (ইএসএস) আবদুল আলীম রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, মাধবদী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ আগে থেকেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কাজে জড়িত। তার বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মাধবদী থানায় মামলা করেছে। মামলা হওয়ার পর কিছুদিন অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা বদলি হয়ে যাওয়ায় রাসেল মাহমুদ আবারও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিতে  শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। যেখানে এ ধরনের অবৈধ সংযোগ দেখছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছি। এ ধরনের অবৈধ সংযোগ যারা দিচ্ছে তাদের প্রতি জনগণ এখন বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন নরসিংদী আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রকৌশলী শহিদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল আলীম রাসেল, প্রকৌশলী সুরজিত সাহা, সহকারী কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, জুনিয়র টেকনিশিয়ান আইয়ূব খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।