স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্যাংকে পানি সঞ্চয় নিয়ন্ত্রণে বৈদ্যুতিক পাম্পের অটোসুইচ উদ্ভাবন করেছেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার যুবক মাহবুবার রহমান বাপ্পা। তিনি উপজেলার ছোট কুষ্টারী এলাকার মৃত কায়ছার আলীর ছেলে।
বাপ্পা স্নাতকোত্তর (এমএ) পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে উপজেলা পরিষদ মোড়ে গড়ে তোলেন একটি কম্পিউটারের দোকান। বৈদ্যুতিক মারাত্মক গোলযোগে নিজ বাড়িতে প্রায়ই পানি তুলতে ভুলে যেতো। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হতো নিজের বৃদ্ধা মাসহ বাড়ির ভাড়াটিয়াদের। আর সেখান থেকেই শুরু হয় ট্যাংকে সার্বক্ষণিক পানি মজুদে বিদ্যুতের ও পানির অপচয়রোধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাম্প চালু ও বন্ধ করতে অটোসুইচ উদ্ভাবনের চেষ্টা। চার মাস ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পর অটোসুইচ উদ্ভাবন ও সফল ব্যবহারে সক্ষম হয়। চিলমারীর যুবক মাহবুবার রহমান বাপ্পা বাংলানিউজকে জানায়, তার নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই সুইচ তৈরি করতে দু'টি বৈদ্যুতিক সুইচ, ১টি খালি প্লাস্টিকের বোতল, বৈদ্যুতিক তার, দু'টি স্ক্রু, লোহার ছোট চাকতি ও তিন ইঞ্চি বার, প্লাস্টিক টেপ, সুতা ও গামের প্রয়োজন। অটো সুইচ তৈরিতে তার সর্বমোট খরচ ১৫০ টাকা। সহযোগিতা পেলে এই প্রযুক্তি আরো উন্নত করে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব।
চিলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বৈদ্যুতিক সমস্যা ও মানুষের ব্যস্ততায় পানি উত্তোলনে জটিল এই সমস্যার সমাধানে তার এই উদ্ভাবন সত্যিই অভাবনীয়। তার নিজ বাড়ির ট্যাংকে এই উদ্ভাবন দেখে ইতোমধ্যে তার প্রতিবেশীরা পাম্পের অটোসুইচ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এফইএস/এএটি