ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

একটি উৎস থেকেই জ্বালানি সঙ্কট নিরসন সম্ভব নয়: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১২
একটি উৎস থেকেই জ্বালানি সঙ্কট নিরসন সম্ভব নয়: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: শুধুমাত্র একটি উৎস দিয়ে জ্বালানি সংকট নিরসন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, আর এটাই সরকারের ৩ বছরে বড় শিক্ষা।



সোমবার সন্ধ্যায় হোটেল রূপসী বাংলায় জিটিসিএল ও ভরতীয় কোম্পানির মধ্যে গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ৩ বছরের সাফল্য তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জ্বালানি খাত বিপর্যস্ত ছিল। এখন আমরা সমস্যার মধ্যেই আছি। তবে সরকারের নেওয়া অনেক প্রকল্পের কারণে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

২০১৩ সালে গ্যাসের চাহিদা বাড়লেও ভারসাম্য থাকবে বলেও তিনি দাবি করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে অন্যান্য জ্বালানি উৎসের উন্নয়নে কাজ করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক –ই –ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকার গ্যাস খাতের অনেক উন্নয়ন করেছে। সেই সঙ্গে বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

জ্বালানি সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, পাইপ লাইনের সমস্যার কারণে সিলেট থেকে আগে গ্যাস সরবরাহ সমস্যা দেখা দিত। আজকে যে বিবিয়ান ধুনুয়া পাইপ সরবরাহ চুক্তি করা হল। তা বাস্তবায়ণ হলে রাজধানীর গ্যাস সংকট অনেকখানি কমে যাবে।

সরকার জ্বালানি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে জ্বালানি তেলের মজুদ বাড়াতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, আগে দেশে মাত্র ৯ লাখ ৩৫ হাজার মে. টন তেল মজুদ থাকত। আর এখন যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তাতে আরও ৫ লাখ ১৩ হাজার মে. টন বাড়তি মজুদ সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, একইভাবে জেট ফুয়েল ২৯ হাজার মে. টন থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার মে. টন করা হচ্ছে। এছাড়া সিটেল ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল রি-ফুয়েলিং এবং কুর্মিটোলায় রেলওয়ে ওয়াগন থেকে সরাসরি বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কয়লা নীতি প্রণয়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। মতামত পাওয়া গেলেই সেভাবে কাজ শুরু করা হবে।

রাজশাহীতে গৃহস্থালীর কাজে গ্যাস সরবরাহ করা হবে না বলেও তিনি জানান।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূইয়া, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর।

প্রকল্পের আওতায় বিবিয়ান থেকে ধনুয়া পর্যন্ত ১৩৭ কিলোমিটার সঞ্চালয়ন পাইপ লাইনের পাইপ সরবরাহ করবে ভারতীয় কোম্পানি মান ইন্ডাস্ট্রি।

এতে ব্যায় ধরা হয়েছে ১৬৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পাইপ সরবরাহ পাওয়া সাপেক্ষে অন্য ঠিকাদার দিয়ে পাইপ বসানো হবে। ২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লি. (জিটিসিএল) কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ ইউনুস ও ভারতীয় কোম্পানি পক্ষে স্বাক্ষর করেন চিফ অপারেটিং অফিসার সঞ্জিব দেব।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।