ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ রজব ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

হাজারো বাংলাদেশির অংশগ্রহণে পর্তুগালে বিজয় উৎসব 

অতিথি করেসপন্ডেন্ট, পর্তুগাল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
হাজারো বাংলাদেশির অংশগ্রহণে পর্তুগালে বিজয় উৎসব  বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিদেশিরাও মেতে ওঠেন বিজয় উৎসবে

পর্তুগাল থেকে: প্রথমবারের মতো পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে বিশাল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস উৎসব।  

প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশির অংশগ্রহণে দিনব্যাপী নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও নানা স্টলে নানা রকম আয়োজন ছিল উৎসবে।

 

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের মার্তিম মনিজ পার্কে এ বিজয় উৎসব হয়। জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওরের প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়েলু বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন।  

দুপুর ২টায় পর্তুগালের রাজনৈতিক ও সামাজিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন রনি হোসাইন ও আব্দুল হাকিম মিনহাজ।  

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজয় উদ্যাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রানা তাসলিম উদ্দিন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়।  

এসময় পর্তুগালের লিসবন মিউনিসিপ্যাল অ্যাসেম্বলি মেম্বার ও সোশ্যালিস্ট পার্টি নেতা অ্যাডভোকেট ড. জোজে লেইতাও, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া আল্কান্তারার প্রেসিডেন্ট ডেভিড অ্যামাদোসহ বিভিন্ন পর্তুগিজ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  

এসময় পর্তুগালের প্রবীণ কমিউনিটি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন ও কমিটির অন্যরা তাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানান। দ্বিতীয় পর্বে মূল আকর্ষণ ছিল সোনা পাখি খ্যাত শিল্পী ওয়াহিদের আয়োজন। যা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে এবং বিজয় দিবসের উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলে। এর পাশাপাশি পর্তুগালের স্থানীয় শিল্পীরাও বাংলা গানে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। পর্তুগিজরা বাংলাদেশের মনোমুগ্ধকর এ বিজয় উৎসবে আনন্দিত হন। তারা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং বাঙালিদের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন।  

তারা বাঙালিদের প্রতি বছর এমন আয়োজন করার জন্য সব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন।  

জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওরের প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়েলু বলেন, বাংলাদেশিরা তাদের স্বাধীনতার মাসে সুন্দরভাবে বিজয় উৎসব আয়োজন করছে। আমরা সঙ্গে থাকতে পেরে আনন্দিত। বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও উদ্যাপন কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রানা তাসলিম উদ্দিন। পর্তুগালের ইতিহাসে বাংলাদেশের কমিউনিটির এটাই সবচেয়ে বড় আয়োজন। আমি পর্তুগালের প্রথম পাঁচজনের একজন প্রবাসী। সে হিসেবে বলতে পারি পর্তুগালে এত বড় আয়োজন আজ পর্যন্ত হয়নি। প্রতি বছর আমার তরুণরা এমন আয়োজন করবে বলে মনে করি। যা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের মধ্যে ইতিবাচকভাবে ফুটিয়ে তুলবে।  

মেলায় ৪০টির মতো স্টলে বাংলাদেশিরা দেশীয় বিভিন্ন কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন পিঠা, হস্তশিল্প ও বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে হাজির হন। বিজয় উৎসবে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।