ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

ভিয়েনায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
ভিয়েনায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার সিমেনস পার্কে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। পরে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে প্রবাসী বাঙালিরা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধন শেষে বাংকলেকারগাসে আলোচনা সভা হয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অস্ট্রিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি, মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক নজরুল ইসলাম। পরিচালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অস্ট্রিয়ার সহ-সভাপতি এ কে এএম শওকত আলী, আকতার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বাঙালি অস্ট্রিয়ান হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহী দাস সাহা, এ বি এম মাইনুদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, আবদুস সাত্তার প্রমুখ।

স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং শহীদজননী জাহানারা ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম জানিয়ে সমাবেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি  একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি  গঠিত হয়।

একই বছরের ৩ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির প্রতি সমর্থন জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, প্রয়োজন হলে আমার বুকের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে করবো।
 
নজরুল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা তার ওই ঘোষণা অনুযায়ী দুর্যোগময় সময় ও ঝড়ঝঞ্চার সঙ্গে লড়াই করে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের সব ষড়যন্ত্র একে একে ব্যর্থ করে দিয়ে প্রমাণ করে চলছেন জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

নজরল ইসলাম বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও তার আদর্শের স্থায়ী নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন এবং তাদের সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ অপরিহার্য।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।