অবশ্য এর জন্যে কূটনৈতিক দূরদৃষ্টির অভাবকেই দুষছেন এখানকার প্রবাসীরা। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসেছে- দূতাবাসের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ নেই বর্তমান ঠিকানায়।
প্রয়োজনে ভাড়া বাড়িতেই ঠিকানা বদলে আগামীতে ঢাকার মিশন পরিচালনা করতে হবে জাকার্তায়। ঢাকায় নিজস্ব ঠিকানায় জাকার্তার মিশন থাকলেও উল্টোটা কেন হলো না?
এ প্রশ্নের জবাব নেই কারো কাছে। তবে ঢাকার পররাষ্ট্র দফতরের একটি সূত্র বাংলানিউজকে বলেছে, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে মিশন চালু হলেও পরবর্তী সরকারগুলো জাকার্তার মিশন নিয়ে ঠিক সেভাবে ভাবেনি। গতিশীলতা বাড়িয়ে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর উদ্যোগও দেখা যায়নি।
অতীতে রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক কূটনীতির মারপ্যাঁচে প্রতিবেশী দেশ ছেড়ে পূর্বমুখী নীতি দেখা গেলেও তখনো এই মিশন গুরুত্ব পায়নি। বরং ঢাকার কাছে বরাবরই জাকার্তা তুলনামূলক ছোট মিশন। বলা যায়- থ্রি ম্যান মিশন। রাষ্ট্রদূত সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আজমল কবির। কাউন্সিলর সেহলি সাবরিন। সেকেন্ড সেক্রেটারি অনিবার্ণ নিয়োগী।
হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আমান উল্লাহ। রাষ্ট্রদূতের সহকারী মিজান আর দূতাবাসের কর্মচারী আকবর। এর বাইরে গাড়ি চালকসহ আটজনের একটি দল কাজ করেন দূতাবাসে। যাদের সবাই স্থানীয় নাগরিক।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পর বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়াই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম দিকেই স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে।
ইন্দোনেশিয়ার এই অবদানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দূত পাঠিয়েছিলেন জাকার্তায়। এভাবেই ১৯৭২ সালের ২৯ মে জাকার্তায় যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
প্রথম দিকে দূতাবাসে প্রতিরক্ষা এ্যাটাচের পদ থাকলেও পরে তাও ছেঁটে ফেলা হয়। আর এভাবেই ঢাকার কাছে এই মিশনের গুরুত্ব হারানোর সূচনা হয়। ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ায় নিজেদের সংস্কৃতির আদলে যেখানে নিজস্ব দূতাবাস রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। সেখানে পাঁচবারের ঠিকানা বদলে বর্তমানে দক্ষিণ জাকার্তার কুনিংহাম এলাকায় ছোট একটি ভাড়া বাড়িতেই চলছে বাংলাদেশের মিশন।
অতীতে এই মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক কূটনৈতিক বাংলানিউজকে বলেছেন, রাষ্ট্রদূত যে বাড়িতে থাকেন সেটিও ১৫ বছরের পুরনো। বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় সেখানকার পরিসর এতো কম যে, অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের দাওয়াত দিলে স্থান সংকুলান নিয়েও ভাবতে হয়।
যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবির বাংলানিউজকে জানান, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বর্তমানে ভাড়াও বেড়েছে। এ ভাড়াতে এই শহরে এমন আয়তনের বাড়ি পাওয়াও মুশকিল।
আর ছোট মিশন হিসেবেও বর্তমান ভবনে কাজ চালাতেও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ভবন নয়, সেবাটাই আসল। আমরা সেবার মাধ্যমেই ভিনদেশে বাংলাদেশের ইমেজ বাড়াতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
টিআই/বিএস
আরও পড়ুন
** তথ্যপ্রযুক্তিতে সুস্থ রাখার এক ফেরিওয়ালা সাজিদ রহমান
** ইন্দোনেশীয় ইউলিয়ানা আর বাংলাদেশি পলাশের প্রেমের আখ্যান!
** ঘামে ভেজা গেঞ্জি থেকেই সাফল্য!
** ইন্দোনেশিয়ায় নেমেই কোটিপতি!
** বাংলার পুকুরেই সাগরের ভেটকি
** প্রবাসে ভবিষ্যত বাংলাদেশ
** ইন্দোনেশিয়ায় অনন্য বাংলাদেশকেই মেলে ধরছেন হুমায়রা
** সন্ধ্যা হতেই বাতি নেভে শাহজালালের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের
**ঢাকা-জাকার্তা অনন্য উচ্চতায়
** ইন্দোনেশিয়া হতে পারে সেরা গন্তব্য
** এবার ইন্দোনেশিয়ার পথে বাংলানিউজের জাহিদ