এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাস চত্বরে পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এরপর দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত।
এছাড়া রিয়াদে বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। রিয়াদে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার কয়েকশ’ অভিবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ আলোচনার শুরুতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। রাষ্ট্রদূত বলেন, মাতৃভাষার জন্য আত্মদান পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। একুশের চেতনার মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা পেয়েছিল যার ফলে পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে অভিবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিনের উপস্থাপনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে রিয়াদে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একুশের তাৎপর্য তুলে ধরেন। অভিবাসীরা দূতাবাস চত্বরে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান।
ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে মহান ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেও দোয়া জানানো হয়।
রিয়াদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলা কারিকুলাম ও ইংরেজি মাধ্যমেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়। শহীদ দিবস উপলক্ষে রিয়াদের সাহিত্যিক সংগঠন রাইটার্স দূতাবাস চত্বরে প্রবাসীদের রচয়িত বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বই, সাময়িকী ও পত্রিকার দর্শনীর আয়োজন করে। এ উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন করে রিয়াদের ঢাকা মেডিক্যাল সেন্টার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
টিআর/জেডএস