তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য করা যার মতলব, সে কী করে দলকে ক্ষমতায় আনবে? বিএনপি ও তাদের রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগকে কিছুই করতে হচ্ছে না। বিএনপি ধ্বংসের জন্য এক তারেক রমানই যথেষ্ঠ।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বুধবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও বিএনপি মূলত নির্বাচন করেনি। এর কারণ হলো- আওয়ামী লীগের উন্নয়ন, সুশাসন, অর্থনৈতিক বিপ্লব, গরিব মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। তারেক রহমান লন্ডনে বসে স্কাইপের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি করেন, বক্তব্য দেন, যা বাংলাদেশের আদালত দেশে প্রচার নিষিদ্ধ করেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বে ব্যতিক্রম এই কারণে যে, তিনিই প্রথম স্বামী-পরিত্যক্তা, বিধবা-গরিব নারীদের ভাতা চালু করেছেন। স্বামী-পরিত্যক্তা নারীদের ভাতা দেওয়া নজির বিশ্বের কোথায়ও নেই। ’
‘বাংলাদেশ নিয়ে এখন আর বিশ্বের গণমাধ্যমে তলাবিহীন গরিব দেশ হিসেবে শিরোনাম হয় না। হয় বিশ্বে যখন বাংলাদেশের নারীরা ফুটবলে চমক লাগিয়ে দেয়, ক্রিকেটে বিশ্বকাপে যখন জয় ছিনিয়ে আনে, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ৭ এর ঘর অতিক্রম করে-তখন। আর এসব কেবল তখনই হয়, যখন একজন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন, দেশের নেতৃত্ব দেন। ’
সভা শেষে লন্ডন টাইমসের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘স্মার্টকার্ড ও সকল নাগরিকসেবা যেভাবে এবং যে পদ্ধতিতে দিলে জনগণ এবং সবার কাছে সহজে পৌঁছে যায়-আওয়ামী লীগ সরকার সেভাবেই কাজ করছে। ’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে বলে আশা করি। ’
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক নঈমুদ্দিন রিয়াজ, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা হরমুজ আলী, আবদুল আহাদ চৌধুরী, মহিলা যুবলীগ নেত্রী সাজিয়া সুলতানা স্নিগ্ধাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।
উল্লেখ্য, ইউরোপে এক সপ্তাহের সরকারি সফরে তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার (০২ জুলাই) লন্ডন পৌঁছান। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের সিভিল সার্ভিস কলেজ ও বিবিসি’র সদর দফতর পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার তিনি যুক্তরাজ্যের চেয়ারম্যান অব পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিজিটাল, কালচারাল, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস ডেমিয়েন কলিন্স এমপি’র সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দু’দেশের তথ্য, গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক সহায়তাবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে বেলজিয়াম ও ফ্রান্স সফরকালে ব্রাসেলসে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সভা ও প্যারিসে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করবেন ড. হাছান মাহমুদ। সফর শেষে ৯ জুলাই তার দেশে ফেরার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
জিসিজি/এমএ