১০ জানুয়ারি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে জাতিসংঘ সনদকে সমুন্নত রাখা’ শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে রাবাব ফাতেমা বলেন, জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের জনগণের আদর্শ এবং এ আদর্শের জন্য তারা চরম ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে।
‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে, তা এসেছে জাতির পিতার উদ্ধৃত ওই আদর্শ থেকেই। ’
এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতা ও সাহসী নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন তা তুলে ধরেন জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ফলে এই অঞ্চল একটি অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষা পেয়েছে আর এই আশ্রয়দান জাতিসংঘ সনদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিরই বহিঃপ্রকাশ।
‘অরাষ্ট্রীয় অপশক্তি দ্বারা সৃষ্ট অসম নিরাপত্তা হুমকি, সাইবার জগতে নতুন চ্যালেঞ্জসহ জলবায়ু পরিবর্তন, দরিদ্রতা, অসমতা, সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মানব বাস্তুচ্যুতির মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জসমূহের প্রতি সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বহুপাক্ষিকতাবাদ ও জাতিসংঘ সনদকে সমুন্নত রাখতে হবে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ’
জাতিসংঘ সনদের ৭৫তম বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে এটি ছিল চলতি বছরে নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম উন্মুক্ত আলোচনা। ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্যাম বিন মিন এই উন্মুক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। এতে ১০০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতিয়েরেস এবং চেয়ার অব দ্য এলডার্স ম্যারি রবিনসন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
টিআর/এমএ